রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে মিছিল করতে পারবে না তৃণমূল। মিছিল যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। পাশাপাশি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানান, বেশি ভালবাসা মধুমেহর (ডায়াবিটিস) কারণ হতে পারে।
কারও সুস্থতা কামনা করা যেতেই পারে।
শুভেন্দুর আইনজীবী পাল্টা বলেন, ''ফুল নিয়ে গিয়ে অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করাকে কি ভালবাসা বলে?'' এ পরই রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, ''তা হলে বেশি ভালবাসবেন না। মধুমেহ (ডায়াবেটিস) হয়ে যেতে পারে।''
রাজ্য সরকারের তরফে আদালতে জানানো হয়, এ বিষয়ে তারা হলফনামা জমা দিতে চায়। কারণ রাজ্যের দাবি, শান্তিকুঞ্জের সামনে বার বার জমায়েত করা হয়, এই বক্তব্য ঠিক নয়। এর পরই হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে জমায়েত করা যাবে না। এ রকম জমায়েত যাতে না হয় কাঁথি থানাকে তা নিশ্চিত করতে বলবেন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার। আগামী শুক্রবার ফের এই মামলাটির শুনানি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার শুভেন্দুর একটি টুইটকে কেন্দ্র করে গোলমালের সূত্রপাত। তাতে বিরোধী দলনেতা দাবি করেছিলেন, দক্ষিণ কলকাতার একটি বিলাসবহুল হোটেলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে আয়াংশের জন্মদিন উপলক্ষে এলাহি আয়োজন করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের বিশাল বাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্বে। কিন্তু দেখা যায়, সে দিন ওই হোটেলে তেমন কোনও অনুষ্ঠান হয়নি। দুপুরে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের ফুটবল দলের প্রশিক্ষক এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিলিত হন অভিষেক। এর পরেই ভুয়ো টুইটের অভিযোগ তুলে আসরে নামে তৃণমূল। দলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, শুভেন্দুর 'মস্তিষ্ক বিকৃতি' দেখা দিয়েছে। তিনি 'এবি (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) ফোবিয়া'য় ভুগছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মানসিক সুস্থতা কামনায় যুব তৃণমূল তাঁকে অভিষেকের ছবি দেওয়া 'গেট ওয়েল সুন' কার্ড এবং গোলাপ ফুল পাঠাবে। সেই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবেই সোমবার শুভেন্দুর বাড়ি কাঁথির শান্তিকুঞ্জে গোলাপ দিতে পৌঁছে যান যুব তৃণমূল কর্মীরা। তা নিয়েই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। সেই ঘটনা নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। সেই প্রেক্ষিতেই শান্তিকুঞ্জের সামনে তৃণমূলের জমায়েত নিষেধ করে দিল আদালত।
0 Comments