গত বৃহস্পতিবার মালদহের বাঙ্গীটোলা হাইস্কুলে শৌচাগারের পাঁচিল ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় একাদশ শ্রেণির ছাত্র জিসান শেখের। গুরুতর জখম হয় আরও এক ছাত্র। এই ঘটনার পরেই স্কুলে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। এর পর থেকে গত কয়েকদিন ধরে তালা বন্ধ ছিল স্কুল। স্কুল চত্বরে বসেছিল পুলিশ পিকেট। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি এবং প্রশাসনের তদন্ত কমিটির পরিদর্শনের পর স্কুলে ফের পঠন-পাঠনের কাজ শুরু করা হয়েছে।তবে স্কুলের তরফে ক্ষয়ক্ষতির যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তাতে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির ইঙ্গিত মিলেছে।
স্কুলে ১০টি স্টিল আলমারি ও চারটি কাঠের আলমারি ভাঙচুর হয়েছে। ১৭ টি কম্পিউটার, একটি বড় টিভি, ভিডিও ক্যামেরা, ছ'টি প্রিন্টার, দুটি প্রজেক্টর, দু'টি টিভি ডিসপ্লে, চারটি শোকেস, প্রায় ১১২ টি বেঞ্চ, ৫০ টি টেবিল, ৩৭টি দরজা ও ২০টি জানালা, ৪০টি সাইকেল, কাঠের ও প্লাস্টিক সহ প্রায় ৭০টি চেয়ার, ছাড়াও একাধিক জিনিস পত্র ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হয়েছে প্রচুর নথিপত্র। ব্যাপক পরিমাণ চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর হওয়াতে স্কুলে ছাত্রদের পঠন-পাঠন নিয়েও তৈরি হয়েছে সমস্যা। পরিস্থিতি যা তাতে ক্ষতিপূরণের জন্য বেশ কয়েকলক্ষ টাকা প্রয়োজন। এমনকি ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকাও ছাড়াতে পারে। এই ক্ষতিপূরণ হবে কিভাবে তা নিয়েই এখন চিন্তিত স্কুল কর্তৃপক্ষ।
প্রশাসন সূত্রে খবর, কেন বা কিভাবে ওই স্কুলের পাঁচিল ভেঙে পড়েছে তা তদন্ত কমিটির রিপোর্টের স্পষ্ট হবে। ওই রিপোর্ট এবং ক্ষয়ক্ষতির তালিকা খতিয়ে দেখার পর স্কুল পুনর্গঠন এর বিষয়ে শিক্ষা দপ্তরের কাছে প্রস্তাব পাঠানোর কথা ভাবছে প্রশাসন। সেক্ষেত্রে ওই স্কুলের জন্য বিশেষ কোনও আর্থিক প্যাকেজ মিলবে কিনা এর পরে তা স্পষ্ট হবে।স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, যে বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা স্কুলের উন্নয়ন ফান্ড দিয়ে মেটানো সম্ভব নয়। ফলে বাড়তি আর্থিক বরাদ্দের প্রয়োজন। স্কুলে এখনও ছাত্র-ছাত্রীদের হাজিরা অনেকটাই কম। হাজিরা স্বাভাবিক হলে হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রীর চেয়ার, টেবিল বসার ব্যবস্থা নিয়েও সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
0 Comments