আমাদের কাছে ভাল ট্রেনার রয়েছে। এক্স-আর্মি, কর্নেল। ওদের বন্দুক ধরার অনুমতি রয়েছে। তাঁরা শেখাবে, দেখাবে আমাদের কর্মীদের। টানতে শিখবে, ঢোকাতে শিখবে, কীভাবে ক্যাবিনেট খুলতে হয়, লক খুলতে হয় শিখবে

শুরু হয়ে গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) সলতে পাকানো। আর তাতেই তপ্ত হচ্ছে গ্রাম বাংলার রাজনীতির মাটি। মাটি শক্ত করতে এখন থেকেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী সবপক্ষই। তবে ভোট আসুক, রণনীতি তৈরি হোক কিন্তু বিরোধীরা কোনওভাবেই হালে পানি পাবে না পঞ্চায়েতে।

এদিন নৈহাটিতে গ্রামসভায় যোগ দিয়ে তৃণমূলের (Trinamool Congress) 'কালারফুল বয়' মদন মিত্রের (Madan Mitra) গলায় শোনা গেল এ কথা। বিরোধী শিবিরের বিরুদ্ধে রীতিমতো চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করতে গিয়ে গানের সুরে মদন বলেন, "আমরা ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, রাম-বামে ছেঁদো জোটে পাত্তা দিই না। ওহ লাভলি।" মদনের এ কথা শুনে মুহূর্তেই হাসির রোল ওঠে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে জড়ো হওয়া জনতার ভিড়ে। একইসঙ্গে এদিন পঞ্চায়েত ভোটে অস্ত্রের ব্যবহার নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে।

শনিবারই সোনারপুরের কামরাবাদ এলাকায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত যুবকের নাম লাল্টু হাজরা। মৃতের পরিবার অভিযোগ, লাল্টুর বন্ধুদের মধ্যেই কেউ এই কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু, খোলা বাজারে এত সহজে বন্দুক মিলছে কী করে? একদা এই দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বিষ্ণুপুর থেকে প্রথম বিধায়ক হওয়া মদন মিত্র এ প্রসঙ্গে এদিন নৈহাটিতে বলেন, "দিলীপবাবু বলেছেন উনি ওনার কর্মীদের ঘরে ঘরে অস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছেন। এগুলো তারই হয়তো কোনও অংশ হবে। তবে আমি বলেছি, কোথায় কোথায় পৌঁছাচ্ছেন ওগুলো জানতে পারলে আমাদের সুবিধা হবে। কারণ আমাদের কর্মীরাও ওগুলো নিয়ে নেবে। আমাদের কাছে ভাল ট্রেনার রয়েছে। এক্স-আর্মি, কর্নেল। ওদের বন্দুক ধরার অনুমতি রয়েছে। তাঁরা শেখাবে, দেখাবে আমাদের কর্মীদের। টানতে শিখবে, ঢোকাতে শিখবে, কীভাবে ক্যাবিনেট খুলতে হয়, লক খুলতে হয় শিখবে। তবে শিখে ব্যবহার করার দরকার পড়বে না। কারণ মাঠ তো ফাঁকা। গোল.।"

এরপরই ফের গানের সুরে মদন বলেন, "কাতারে কাতারে মানুষ আর বলে বলে গোল, ইডি দিয়ে হয় না কী ভাই মায়ের কোল দখল! ওহ পাগল।" মদনের সাফ দাবি, "মানুষ আমাদের ১০০ শতাংশ ভোট দিয়ে দিতে চাইছে। আমরা তো আর কাউকে গলা ধরে বলতে পারি না আপনি ভোট দেবেন না। তাহলে তো আমাদের ভোট কেন্দ্রে যেতে হয়। আমরা ভোট কেন্দ্রে যাব না। শুধু অনেক দূর থেকে তাঁদের বলব ভাল আছেন তো? বলে হাত নাড়িয়ে দেব। আমাদের ফেসবুকের দরকার হয় না। আমাদের ফেস লুকটা আছে।"

এরপরই ফের বামেদের এক হাত নিয়ে মদন বলেন, "এই তো কদিন আগে বিকাশ বাবু বলছিলেন তৃণমূল যখনই বলেন শান্ত হবে, তখনই অশান্ত হবে। আচ্ছা বিকাশবাবু কী ভুলে গিয়েছেন ৩৪ বছরে সিপিএম কী করেছে? মনে শাসনে কী হয়েছিল? মনে আছে সিদ্ধার্থ রায়কে সাড়ে তিন ঘণ্টা বন্দুক দেখিয়ে আটকে রেখেছিলেন? তখন কী খুব শান্ত ছিল বাংলা? এখন সিপিএম-বিজেপির আঁতাতের মধ্য দিয়ে নিউক্লিয়াস তৈরি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তৃণমূল ছাড়া কিছু নেই।"

Post a Comment

0 Comments