আগামী ২৩ নভেম্বর সকালে পুরুলিয়ার লুধুড়কায় জনসভা করবে বিজেপি। তাতে প্রধান অতিথি হিসাবে হাজির থাকার কথা মিঠুনের। একই সঙ্গে থাকার কথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও। পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, ''পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে কর্মী সম্মেলন রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার বলতে পারেন।'' মিঠুনের প্রচারে নামা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''হ্যাঁ, মিঠুন চক্রবর্তী আসছেন। তিনি বিজেপি কর্মীদের নিয়ে সভা করবেন। এটা পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই কর্মী সম্মেলন।''
গেরুয়া শিবির মিঠুনকে মাঠে ময়দানে পাশে পাওয়ার খবর পেয়ে স্বভাবতই উজ্জীবিত। তাঁদের দাবি, বর্তমান তৃণমূল সরকারের কাজে অতিষ্ঠ মানুষ। পঞ্চায়েত ভোটে মানুষের সেই ক্ষোভ বিজেপির বাক্সে ঢুকতে চলেছে। মিঠুনের উপস্থিতি তাকে আরও শক্তিশালী করবে। যদিও মিঠুনের প্রচারে নামাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল। এ ক্ষেত্রে তৃণমূল মনে করিয়ে দিচ্ছে, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের সময়ের কথা। প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের আগেও মিঠুনকে দিয়ে ব্যাপক প্রচার করিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ভোটে ভরাডুবি হয় গেরুয়া শিবিরের।
তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলার সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ''আমাদের আলাদা করে প্রচার করতে হয় না। আমাদের কর্মীরা সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকেন। আর বিজেপির ক্ষেত্রে পরিযায়ী পাখির মতো ভোট এলে কেউ কেউ আসেন, ভোটের পর আবার উধাও। যেমন এখন বিজেপির সাংসদ, বিধায়কদের দেখা যায় না। লিখে নিন, জেলায় বিজেপি অর্ধেক আসনে প্রার্থী খুঁজে পেতে হিমশিম খাবে।''
প্রসঙ্গত, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন মিঠুন। ব্রিগেডের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। তার পর থেকে বাংলায় বিজেপির হয়ে প্রচার করেছিলেন মিঠুন। 'মহাগুরু'কে দেখতে, শুনতে উপচে পড়েছিল সভার মাঠ। যদিও তাতে ভোটবাক্সে কতটা প্রভাব পড়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। বিধানসভা ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পর পঞ্চায়েত ভোটে সেই মিঠুনই কি পারবেন খেলা ঘোরাতে?
0 Comments