আমি তাঁর সারনেম (পদবি)ও বলিনি, (তাঁকে) মন্ত্রীও বলিনি।' এত দিন পর মন্ত্রী পুরনো কথা গায়ে মাখছেন কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি

কুমন্তব্যের জন্য বুধবার সকালে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। সন্ধেয় সেই অভিযোগ খণ্ডন করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। দাবি করলেন, বিরবাহাকে উদ্দেশ্য করে তিনি কিছু বলেননি।

বুধবার সন্ধেয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু বলেন, 'ভাল করে ভিডিয়োটা দেখুন।

আমি তাঁর সারনেম (পদবি)ও বলিনি, (তাঁকে) মন্ত্রীও বলিনি।' এত দিন পর মন্ত্রী পুরনো কথা গায়ে মাখছেন কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। কার কথায় তিনি এমনটা করছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ভিডিয়ো-অডিয়ো ক্লিপ দিয়ে তাঁর কিছু করা যাবে না।

ঘটনাচক্রে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরির অশোভন মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের আবহে সোমবারই বিরবাহা সম্পর্কে শুভেন্দুর মন্তব্য নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার দু'দিন পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল বিধায়ক।

বুধবার বেলার দিকে ঝাড়গ্রাম থানায় গিয়ে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন বিরবাহা। তাঁর অভিযোগ, গত ৭ জানুয়ারি নেতাই যাওয়ার পথে শুভেন্দুকে আটকেছিল পুলিশ। সেই সময় বিরবাহা সম্পর্কে বেশ কিছু 'অশালীন' মন্তব্য করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। তার ভিত্তিতেই এই অভিযোগ দায়ের।

রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে মন্ত্রীর 'কুকথা'য় অস্বস্তি বেড়েছিল শাসকদলের অন্দরে। যার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এর পর শুভেন্দুর 'বিতর্কিত' মন্তব্যের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়। সেই ভিডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। ওই ভিডিয়োতে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, ''এখানে যারা বসে আছে, এই যে দেবনাথ হাঁসদা ও বিরবাহা হাঁসদা, এরা শিশু। এগুলো আমার জুতোর তলায় থাকে।''

এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''বিরবাহা তো আদিবাসী মেয়ে। একটা সাংস্কৃতিক পরিবারের মেয়ে। তাঁকে যদি কেউ বলে জুতোর নীচে রেখে দেওয়ার মতো, সেটি কি রুচিকর?'' মমতার এই মন্তব্যের পরেই পাল্টা শুভেন্দুকে আক্রমণ করা শুরু করে তৃণমূল। তার পরেই বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে থানার দ্বারস্থ হন বিরবাহা। শুভেন্দুর উদ্দেশে বিরবাহা বলেন, ''আমরা আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বলে বিরোধী দলনেতা এ রকম কথা বলেছেন। কোনও ভদ্র, শিক্ষিত মানুষ এমন কথা বলতে পারেন না। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ হিসাবে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমি। ঝাড়গ্রাম থানায় ওঁর বিরুদ্ধে এসসি-এসটি ধারায় অভিযোগ জানাচ্ছি।''

Post a Comment

0 Comments