প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ২৬ জন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ ঘিরে অভিযোগ। সূত্রের খবর, এই নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতেই জেলার স্কুল এসআইদের তলব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
সিবিআই সূত্রে দাবি, মুর্শিদাবাদ জেলার যে সকল সার্কেলে ওই ২৬ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন, সেই সব সার্কেলের স্কুল এসআইদের তলব করা হয়েছে। একইসঙ্গে, এই নিয়োগ সংক্রান্ত নথিপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
সূত্রের দাবি, জেলার প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের কাছে নোটিস পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৫ জন স্কুল সাব ইন্সপেক্টরকে সেই নোটিসের ব্যাপারে জানানো হয়েছে। সকলকে ২১ নভেম্বর বেলা ২টোর মধ্যে নিজাম প্যালাসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
বড়ঞা উত্তর, বেলডাঙা পূর্ব, ভরতপুর, ধুলিয়ান, জলঙ্গী, জলঙ্গী উত্তর, কান্দি, কান্দি পূর্ব, খড়গ্রাম, খড়গ্রাম উত্তর সহ ১৫টি ব্লকের স্কুল এসআইকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একযোগে তদন্ত করছে সিবিআই-ইডি।
প্রাথমিক টেট দুর্নীতি ছাড়াও নবম থেকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষক, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তি ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন।
প্রাথমিক নিয়োগেও টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে অপসারিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। তিনিও গ্রেফতার হয়েছেন। তদন্ত করতে গিয়ে একের পর তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারী সংস্থার হাতে। খোঁজ পাওয়া গিয়েছে মধ্যস্থকারীদেরও। এমনকী তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, জেলাস্তরেও নিয়োগ কর্তাদের একাংশের যোগ থাকতে পারে এই দুর্নীতিতে। তাই তথ্য সন্ধানে এবার ডাক পড়ল স্কুল এসআইদের।
0 Comments