সিবিআইয়ের সিটের মাথায় অশ্বিন সেনভি কে বসালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

একাধিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment Corruption) তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছিল সিবিআই (CBI)। বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'হাইকোর্টের নজরদারিতে তদন্ত করবে সিবিআইয়ের সিট। তবে এই সিটে যাঁরা সদস্য থাকবেন তাঁদের বদলি করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।'

এবার সেই সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের (SIT) প্রধান হিসেবে নতুন করে নিযুক্ত করা হল অশ্বিন শেনভি (Ashwin Shenvi)-কে।

কয়েক দিন আগে সিবিআইয়ের তৈরি সিটের ভূমিকা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ ছিল, সিটের কয়েকজন সদস্য ঠিকমতো কাজ করছেন না। প্রয়োজনে তাঁদের পরিবর্তন করা যেতে পারে। তাই করা হল। আজ, শুক্রবারই বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় অশ্বিনকে সিটের দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন। তার পরেই অখিলেশ সিংহকে সরিয়ে আনা হল অশ্বিন শেনভিকে।

জানা গেছে, আগামী সাতদিনের মধ্যে কলকাতায় এসে এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তভার গ্রহণ করবেন তিনি।

শুক্রবার হাইকোর্টের কাছে সিবিআই তিন জন আধিকারিকের নাম জানায়, এই সিটের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য। কলকাতা, রাঁচি ও চণ্ডীগঢ়ের এই তিন আধিকারিক হলেন, সুধাংশু খাড়ে, মাইকেল রাজ এবং অশ্বিন শেনভি। প্রত্যেকেই ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিক। এঁদের মধ্যে থেকেই বিচারপতি বেছে নেন অশ্বিনকে।

তবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পছন্দের অফিসারদের তালিকায় ছিলেন অন্য এক জন। তাঁর কথা এদিন জানতেও চান বিচারপতি। জিজ্ঞেস করেন, পঙ্কজ শ্রীবাস্তব কোথায় আছেন, তাঁকে ফিরিয়ে আনা যায় কিনা। বিচারপতি বলেন, 'আমি এমন একজনকে চাই, যিনি গোটা রাজ্যের ভৌগোলিক অবস্থান জানেন।'

এই বিষয়ে বিচারপতিকে জানানোর জন্য ১৫ মিনিট সময় দেওয়া হয়। তবে সিবিআই-এর তরফে আদালতে জানানো হয়, পঙ্কজ শ্রীবাস্তব বর্তমানে আইজি পদমর্যাদায় প্রমোশন পেয়ে গাজিয়াবাদে সিবিআই অ্যাকাডেমিতে কর্মরত রয়েছেন। এর পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের জন্য ডিআইজি অশ্বিন শেনভিকে সিটের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেন।

বিচারপতি সেই সঙ্গে এদিন আরও মন্তব্য করেন, 'আমি চাই না এটি সারদা-নারদা হয়ে যাক।' অর্থাত্‍ তিনি বুঝিয়ে দেন, এই দুর্নীতি মামলার তদন্ত নিয়ে তিনি যথেষ্ট সিরিয়াস। এর আগের আর পাঁচটা মামলার মতো অনন্তকাল আদালতে বন্দি থাকুক এইসব দুর্নীতিও, তা তিনি চান না। সেই কারণেই তদন্তে কোনও খামতি রাখা চলবে না বলেই মত বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের।

Post a Comment

0 Comments