এর আগে প্রাথমিকের টেটে ডিএলএড কলেজগুলিকেও পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু এবার পর্ষদ সেই পথে হাটতে চাইছে না। ইতিমধ্যেই ডিএলএড পরীক্ষাও ডিএলএড কলেজগুলির বদলে স্কুল-কলেজে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। সেই পথেই হেঁটেই ১১ই ডিসেম্বর প্রাথমিকের টেটের জন্য স্কুল-কলেজেই পরীক্ষাকেন্দ্র হিসেবে ঠিক করেছে পর্ষদ।
পর্ষদ সূত্রে খবর, ১৪০০ এরও বেশি পরীক্ষাকেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। বিভিন্ন জেলা থেকে যে তালিকা এসেছিল তার মধ্যে থেকেই পরীক্ষাকেন্দ্র ঠিক করা হয়েছে। পরীক্ষার ৭ দিন আগে থেকে পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হবে অ্যাডমিট কার্ড। সেখানে বিস্তারিত বিষয় উল্লেখ করা থাকবে বলেই পর্ষদ সূত্রে খবর। বিশেষত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে তদন্ত করছে। সেই তদন্তে উঠে এসেছে ডিএলএড কলেজগুলির ভূমিকাও।
ডিএলএড এর সেমিস্টার পরীক্ষাগুলির ক্ষেত্রেও ডিএলএড কলেজগুলিতে পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। এবার সেই পথে হেঁটেই প্রাথমিকের টেটের ক্ষেত্রেও এই সিদ্ধান্ত বজায় রাখছে পর্ষদ।
ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি জেলায় কতগুলি পরীক্ষাকেন্দ্র থাকবে, তার তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলেছে পর্ষদ। প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে নজরদারি করার জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে। অর্থাত্ যাঁরা প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশেষ নজরদারি চালাবেন।মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ধাঁচেই পরীক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করতে চায় পর্ষদ। তার জন্যই প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। তবে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলি পরীক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে যাতে বেশি দূরে না হয় তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে পর্ষদ।
অন্যদিকে, পরীক্ষার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঘিরেও বিশেষ সতর্ক পর্ষদ। বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স এর পাশাপাশি মেটাল ডিটেক্টরও প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যবহার করতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। একটি বিশেষ প্রশিক্ষিত এজেন্সি দিয়ে এই মেটাল ডিটেক্টর প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্র জুড়ে ব্যবহার করা হবে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশির জন্য। এমনটাই খবর পর্ষদ সূত্রে।
0 Comments