সওয়াল-পাল্টা সওয়াল
‘কলকাতায় ১৪৪ ধারা হামেশাই ভাঙে, কী দোষ এদের? হেফাজতে রাখার কী যুক্তি?’ ‘এদের জামিন দেওয়া হোক, হাইকোর্টে কোনও কাজ হচ্ছে না, কারণ আন্দোলনকারীদের অনেকে হাইকোর্টের কর্মী’, ধৃত ডিএ আন্দোলনকারীদের হয়ে সওয়াল বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর। পাল্টা সরকারি আইনজীবীর সওয়াল 'তদন্তকারী অফিসার পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেছেন। কোনও ফ্যাক্টে যাচ্ছি না, সরকারের বক্তব্য লিখিত আকারে জানানো হয়েছে’।
প্রসঙ্গত, আজ ধৃত সরকারি কর্মীদের আদালতে তোলা হয়। ডিএ আন্দোলনে সরকারি কর্মচারীদের বিধানসভা অভিযানে ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। ধৃত ৪৭ জনকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালতে আবেদন জানানো হয়। যেখানে তাঁদের আবেদন ধোপে টেকেনি।
তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩ ধারা - কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে কাজে বাধা, ৩২৩ ধারা - পুলিশকর্মীকে মারধর, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ ধারা - হিংসা ছড়ানো, ৫০৯ ধারা - মহিলা পুলিশকর্মীকে উদ্দেশ্য করে অশালীন অঙ্গভঙ্গি ও কটূক্তি এবং ৫০৬ ধারা - হুমকি, এই সমস্ত জামিন অযোগ্য ধারায় ডিএ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সবাইকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। শুধু ব্যাঙ্কশাল কোর্টই নয়, আন্দোলনের আঁচ ধরা পড়েছে কলকাতা পুরসভাতেও। সেখানেও বকেয়া ডিএ-র দাবিতে বিক্ষোভ চলছে।
দেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, 'মানুষের দাবি কেড়ে নিতে পারে না কোনও সরকার। আমরা আন্দোলনকারীদের পক্ষে।' অন্যদিকে, ধৃত ডিএ আন্দোলনকারীদের হয়ে সওয়াল করেছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা অভাবনীয়। পুলিশ ছেড়ে দেবে বলেছিল, কিন্তু তারপরেও ছাড়েনি। আন্দোলনকারীরা কি বোমা ছুড়েছে, নাকি অন্য কিছু করেছে? কলকাতায় ১৪৪ ধারা হামেশাই ভাঙে। কী দোষ এদের? হেফাজতে রাখার কী যুক্তি? ডিএ দেবে না, আন্দোলনও করতে দেবে না? এদের জামিন দেওয়া হোক’।
0 Comments