তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে বোমাবাজির জেরে কব্জি উড়ল শাসকদলেরই কর্মীর ।


ফের রক্তাক্ত কেশপুর 


কেশপুর এলাকার বাসস্ট্যান্ডে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয় (TMC Inner Clash) । সেই মিছিল উপলক্ষ্যে চড়কায় চলছিল তৃণমূলের প্রচার । সেই প্রচার চালানোর সময় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায় । শুরু হয় বোমাবাজি (Several injured due to TMC Inner Clash) ।

তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে বোমাবাজির জেরে কব্জি  উড়ল শাসকদলেরই কর্মীর । বুধবার বিকেলে কেশপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিল রয়েছে । তারই প্রস্তুতি হিসেবে চরকা গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন দলের কর্মী-সমর্থকরা । অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা মহতাজ খানের নেতৃত্বে বোমাবাজি শুরু হয় । ঘটনায় আহত হয়েছেন 2 তৃণমূল কর্মী । গুরুতর আহত রফিকুল আলমকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে (Several Injured due to TMC Inner Clash) ।

এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে পুলিশ বাহিনীর তত্‍পরতায় । প্রসঙ্গত, এদিন মেদিনীপুরের কেশপুর এলাকার বাসস্ট্যান্ডে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয় । সেই মিছিল উপলক্ষ্যে চরকায় চলছিল তৃণমূলের প্রচার । মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির প্রতিবাদ জানিয়েই এই মিছিলের আয়োজন করেছিল তৃণমূল । সেই প্রচার চালানোর সময় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায় । শুরু হয় বোমাবাজি । বোমার আঘাতেই রফিকুল আলমের কবজি উড়ে যায় । এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন । তড়িঘড়ি আহতদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে আনা হয় ।

এই ঘটনায় মেদিনীপুরের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, "কেশপুরের চড়কার এই সংঘর্ষ একটি ছোট্ট ঘটনা । যেখানে একটি লোকের আঙুল উড়ে গিয়েছে । তবে আমি পুলিশকে বলেছি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে । আমি নিশ্চিত, এই ঘটনার পেছনে সিপিএম ও বিজেপির চক্রান্ত রয়েছে । সিপিএম এলাকা নিজেদের দখলে আনতে বিজেপিকে নিয়ে চক্রান্ত করছে ।"

পাল্টা বিজেপি'র ঘাটাল সাংগঠনিক সভাপতি তন্ময় ঘোষ বলেন, "তৃণমূল উঠে পড়ে লেগেছে কেশপুরকে শেষপুর করতে । যেখানে খোদ মন্ত্রী বারবার স্টেজে বলছেন গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব থামাতে, তারপরও শুনছে না ওরা । মূলত তোলাবাজিকে কেন্দ্র করেই এই গোষ্ঠী সংঘর্ষ । তার জেরে অশান্ত হয়েছে কেশপুর । এটার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই ।"

Post a Comment

0 Comments