'ওই কাকার অত্যাচারে তাঁর বউটাও ঘর ছেড়ে পালিয়েছে। আমার মাও কেরোসিনে ঢেলে জ্বলে মরেছে… কিন্তু বাবা ভেবেছিল, নিজের ভাই তো, তার সঙ্গে এমনটা করবে না.. কিন্তু মেরে দিল।' নিজের কাকা যে এতটা নৃশংস হতে পারে, তা ভাবতেও পারছিলেন না ভাইজি। বাবাকে নিজের কাকার হাতে খুন হতে দেখে স্তব্ধ বছর আঠেরোর মেয়ে।

'ওই কাকার অত্যাচারে তাঁর বউটাও ঘর ছেড়ে পালিয়েছে। আমার মাও কেরোসিনে ঢেলে জ্বলে মরেছে… কিন্তু বাবা ভেবেছিল, নিজের ভাই তো, তার সঙ্গে এমনটা করবে না.. কিন্তু মেরে দিল।' নিজের কাকা যে এতটা নৃশংস হতে পারে, তা ভাবতেও পারছিলেন না ভাইজি। বাবাকে নিজের কাকার হাতে খুন হতে দেখে স্তব্ধ বছর আঠেরোর মেয়ে।

পারিবারিক ঝামেলার জেরে দাদাকে খুনের অভিযোগ উঠল ভাইয়ের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুর গ্রামীণ থানার গোকুল পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামরাইপুরের রিশা গ্রামে। মৃতের নাম সুকুমার আড়ি (৪৪)। ঘটনার পর অভিযুক্ত সঞ্জয় আড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরেই দুই ভাইয়ের মধ্যে একটা বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছিল। মাঝেমধ্যেই তাঁদের বাড়ি থেকে চিত্‍কার চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পেতেন প্রতিবেশীরা। বুধবার রাতেও তাঁদের বাড়িতে অশান্তি হয়। কিন্তু রোজকার ঝামেলা ভেবে প্রথমটায় বিশেষ আমল দিতে চাননি প্রতিবেশীরা। কিন্তু পরে আর্তচিত্‍কার শুনতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন সুকুমার। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্‍সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযোগ, বুধবার আবারও ঝামেলা শুরু করেছিলেন সুকুমারের ভাই সঞ্জয়। বচসার মাঝেই কাপড় কাচার কাঠ দিয়ে দাদার মাথায় সজোরে আঘাত করেছিলেন, তাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সুকুমার। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার তাকে মেদিনীপুর আদালতে তুলবে বলে জানান খড়গপুর গ্রামীন থানার পুলিশ । মৃতের মেয়ে বলেন, ” কাকা সবসময়ে বলত মেরে ফেলব, কেটে ফেলব, কিন্তু আমার বাবা কখনও ভাবেনি ভাই এমনটা করতে পারে, তাই নিজেই সামলাতে গিয়েছিল, কাঠ দিয়ে মাথায় মেরে দিল। আগে থেকেই কাকা এমন করত।”

Post a Comment

0 Comments