সোশ্যাল মাধ্যমে রীনার সঙ্গে বন্ধুর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল

১৬ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল রীনার(নাম পরিবর্তিত)। ১৮ বছর বয়সে একটি ছেলে জন্ম নেয়।তারপর স্বামী অন্য একটি বিয়ে করে অন্যত্র চলে যায়।শ্বশুরবাড়িতে আর ঠাঁই হয়নি রীনার।ছেলেকে নিয়ে ওঠে গরীব মা বাবার বাড়িতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অখ্যাত একটি গ্রামের মেয়ে।বাড়িতে অসুস্থ বাবা।
কী খাবে? কী ভাবে চলবে? এই চিন্তার মাঝেই একটি ছেলের সঙ্গে পরিচয় হয় ওর। সেই ছেলেটির বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘা থানা এলাকায়।রীনা ছেলেটিকে একটি কাজ খুঁজে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। ছেলেটি কলকাতা শহরে কাজ দেবে বলে ওকে নিয়ে আসে।তার ভরসাতেই ওঠে কলকাতায়। খুব সকালে শহর কলকাতায় ছেলেটি তাকে কর্মস্থলে নিয়ে পৌঁছে দেয়। বেলা বাড়লে রীনা জানতে পারে তাকে কলকাতার যৌনপল্লীর সোনাগাছিতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সেই থেকেই সোনাগাছির এই পাড়ায় ঠিকানা।
যা রোজগার হচ্ছিল তাতে ছেলেকে হোস্টেলে রেখে,বাবার চিকিত্‍সা,সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল।বাদ সাধল ওই বন্ধু। শুরু করল মোটা অংকের টাকার দাবি। রীনা যখন সেই টাকা দিতে পারছিল না, তখনই সোশ্যাল মাধ্যমে রীনার সঙ্গে বন্ধুর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল করা শুরু করল সে।কখনও এক লক্ষ, কখনও দু লক্ষ টাকার দাবি। টাকা না দিতে পারার ফলে রীনার গ্রামের আত্মীয়দের ফেসবুক প্রোফাইলে ট্যাগ করে নোংরা ছবি পাঠানো শুরু করল ছেলেটি।
অবশেষে রীনা এক আইনজীবীর পরামর্শে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম থানায় গিয়ে অভিযোগ জানায়। অভিযোগ জানানোর আট দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত ওই ছেলেটি একই ভাবে সোশ্যাল মাধ্যমে রীনার নোংরা ছবি আপলোড করে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে রীনার দাবি,তার গ্রামের লোকজন গ্রামে ঢুকতে দেবে না বলেছে। তারা রীনার পেশা সম্পর্কে জেনে ফেলেছে। পুলিশ যদি ওই ছেলেটিকে না গ্রেফতার করে,তাহলে রিনার আত্মহত্যা ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না বলে সে জানায়। এ বিষয়ে দুর্বার সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়, তারা এই ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে চির জীবন লড়েছে। তারা আরও কঠিন পদক্ষেপের জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হবে।

Post a Comment

0 Comments