চাকুলিয়ার তৃণমূলের সংগঠক হিসবে পরিচিত সেতাবুদ্দিন তাঁর দলবল নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেবেন তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিছু দিন আগে, ব্লক কমিটি গঠন হয়। কমিটি থেকে সেতাবুদ্দিনকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
প্রাক্তন বিধায়ক আলি ইমরান রমজ (ভিক্টর) কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে, উত্তর দিনাজপুরে কংগ্রেস শিবিরে বাড়তি লাভ হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। জেলায় যেখানে কংগ্রেস ক্ষয়িষ্ণু, সেখানে ভিক্টরের পালে হাওয়া তুলতেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি চাকুলিয়ায় সভা করলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। কিছু দিন আগে, ভিক্টরের কাকা বাম আমলের প্রাক্তন মন্ত্রী হাফিজ আলম সৈরানিও কংগ্রেসে যোগ দেন। এ দিনের সভায় ভিক্টরের পাশাপাশি ছিলেন হাফিজও। যা দেখে অধীর ভাষণে বলেন, ''হাফিজ সাহেব অভিজ্ঞ আর ভিক্টরের তেজ—এই দুইয়ের মেলবন্ধনে উত্তর দিনাজপুরে কংগ্রেস আবার জমি উদ্ধার করবে।''
এ দিন অধীর বলেন, 'চাকুলিয়ার এত জনসমাবেশ দেখে মনে হচ্ছে, মানুষ আবার জেগে উঠেছেন। এখন থেকে যেখানে শাসক দল অত্যাচার করবে, সেখানে যত দূর আন্দোলন করা যায়, তত দুর আন্দোলন করা হবে।'' পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিরোধ গড়ারও ডাক দেন তিনি। অধীরের দাবি, 'মোদীও (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী) কংগ্রেসকে আটকাতে পারবেন না, দিদিও (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কংগ্রেসকে আটকাতে পারবেন না। আবার পরিবর্তন হবে। আজ হোক, কাল হোক কংগ্রেস সরকার গড়বে।''
এ দিনের সভায় জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, 'ভোট লুঠ করতে এলে, পা ভেঙে দেওয়া হবে।'' ভিক্টরের দাবি, 'এ দিনের সভায় যোগ দেওয়া আটকাতে শাসক দল বাধা দেয়। হুমকি দেয়। পুলিশকে দিয়ে ভয় দেখানো হয়। পুলিশ নিয়ে বুথ দখল করতে এলে, পাল্টা, লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি থাকবে।''
এ দিন অধীর চৌধুরী পরে সাংবাদিকদের বামদের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে বলেন, ''মানুষ নিচুস্তরে জোট করলে তাঁদের সম্মান দেওয়া হবে। বামেরা প্রস্তাব দিলে অবশ্যই জোট নিয়ে ভাবা হবে।''
অন্য দিকে, এ দিন দুপুরে রায়গঞ্জে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী এবং প্রয়াত সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির মূর্তিতে ফুল ও মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান অধীর।
কংগ্রেসের এ সভাকে অবশ্য গুরত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, 'জেলায় কংগ্রেস কোনও লাভ করতে পারবে না।''
0 Comments