কী বলেছেন শুভেন্দু? শনিবার তিনি নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন। সেখানে শুভেন্দু বলেন, ''অপা সিন্ডিকেট ধরা পড়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে গিয়েছেন। কেষ্ট তিহাড় জেলের পথে। সবেমাত্র সকাল হয়েছে। আজ আবার টিভিতে বলছে, ইডি নাকি আরও সক্রিয় হচ্ছে। ছবি বিক্রিটাও তারা সামনে আনবে।''
বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যের নিশানা কার দিকে? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, যদিও শুভেন্দু কারও নাম করেননি। কিন্তু একসময়ে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবি নাকি অনেক টাকায় সুদীপ্ত সেন কিনেছিলেন। সেই দিকেই শুভেন্দু ইঙ্গিত করেছেন। সারদা মামলা চলাকালীন এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল। এই মামলাটির তদন্তেও ছিল সিবিআই। কিন্তু এখন মনে করা হচ্ছে, মামলাটির তদন্ত অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েছে। ঘটনাচক্রে, শুক্রবার হাই কোর্টের দুই বিচারপতি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময়ে সারদা এবং নারদ মামলার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তও না সারদা-নারদের মতো হয়ে যায়!
শুভেন্দুর এ দিনের কথার পরে কয়েকটি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রথমত, তা হলে কি এ বারে সারদা তদন্তে নতুন করে তত্পরতা শুরু হবে? দ্বিতীয়ত, তা-ই যদি হয়, সিবিআইয়ের সঙ্গে সেখানে যদি ইডি যুক্ত হয়, সে কথা শুভেন্দু আগাম জানলেন কী ভাবে? অন্তত তাঁর কথা থেকে তেমনটাই মনে হচ্ছে বলে তৃণমূলের দাবি। তৃতীয়ত, তা হলে কি এ বারে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি এমন কিছু তদন্তে গতি আনবে, যেখানে তৃণমূল নেত্রীর দিকেও অভিযোগের আঙুল উঠছে?
শুভেন্দুর এই বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ''উনি (শুভেন্দু) যে মামলার কথা বলছেন, সেটা ২০১৩ সালের। ৯ বছর পরে সেই মামলার গতিপ্রকৃতি কী হবে, তা যদি বিজেপির কোনও নেতা বলে দেন, তা হলে তো কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন জাগবেই। তাই আমরা বরাবর কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তে নিরপেক্ষতা দাবি করছি।'' তাঁর আরও বক্তব্য, ''তা ছাড়া মামলা নিয়ে কথা ইডি-র তরফে কিছু বলা হয়নি। শুভেন্দু ইডি-র জনসংযোগ আধিকারিক নিযুক্ত হয়েছেন কি না, তা-ও সরকারিভাবে জানানো হোক।''
0 Comments