নিজের স্বপ্নপূরণ করতে শেষ অবধি নতুন টোটোই (toto) কিনে ফেললেন শ্রীরামপুর কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী (student) হুগলির (Hooghly) চাঁপদানীর বাসিন্দা তমা দত্ত।

পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, এই স্বপ্ন ছোট থেকেই ছিল তাঁর। কিন্তু স্বপ্নপূরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বাড়ির আর্থিক অবস্থা। উচ্চশিক্ষার খরচ চালানোর সামর্থ্য বাবার নেই। বাবার পুরনো টোটোটা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই নিজের স্বপ্নপূরণ করতে শেষ অবধি নতুন টোটোই (toto) কিনে ফেললেন শ্রীরামপুর কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী (student) হুগলির (Hooghly) চাঁপদানীর বাসিন্দা তমা দত্ত।

বাবার সঙ্গে আগেও বেশ কয়েকবার সেই পুরোনো টোটো চালিয়েছেন তমা। কিন্তু সেটি খারাপ হতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। কোত্থেকে আবার নতুন টোটো কেনার টাকা জোগাড় হবে! এমন সময় তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন চাঁপদানী পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ মিশ্র, এলাকার বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন। এর সঙ্গে তমা যোগ করেন মায়ের গয়না বিক্রির টাকা ও নিজের স্কলারশিপের টাকা।

এরপরই শনিবার চুঁচুড়ায় হুগলি মোটরস-এর শোরুমে এসে নতুন টোটো কিনলেন তমা। হুগলি মোটরস-এর কর্ণধার শেখ নাসিরুদ্দিনও তমার লড়াইয়ের গল্প শুনে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। টোটোর দামে বেশ কিছুটা ছাড় দিয়েছেন তিনি। সবার সাহায্যে এবং নিজের উপর ভরসা রেখে অবশেষে টোটো কিনতে পেরে খুশি তমা নিজেও। এবার তাঁর লক্ষ্য টোটো চালিয়ে সংসারের হাল ধরা এবং পড়াশোনা শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়ানো।

তমা বলেন, 'টোটো আমার ভবিষ্যত্‍ না, এটা শুরুতেই বাবা-মা'কে বলে দিয়েছি। তবে বর্তমানে সংসার টানতে সেই টোটোর উপরেই ভরসা রাখতে হচ্ছে। এছাড়াও, আমার পর ভাই-বোনরাও রয়েছে। তাই বাড়ির বড় মেয়ে হওয়ায় আমার উপরে পরিবারের অগাধ ভরসাও রয়েছে।' অন্যদিকে তমার মা অঞ্জলি দত্ত বলেন, 'মেয়ের পড়াশোনার খুব ইচ্ছা। ও নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। টোটো চালিয়ে পড়াশোনা করার সাহস ও দেখাবে, সেটা ভাবতে পারিনি।'

Post a Comment

0 Comments