ওয়েব ডেস্ক; ১৮ জানুয়ারি: ১৭ই জানুয়ারী সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে , জেলার সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন বাহিনীর সীমা চৌকি সিকরার অঞ্চলে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ান, ৪জন বাংলাদেশী চোরাকারবারীকে অবৈধভাবে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশের জন্য বাধা দেয়। কর্তব্যরত জওয়ান তাদের চ্যালেঞ্জ করে এবং শক্তভাবে তাদের মোকাবেলা করলে চোরাকারবারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে জওয়ানকে নির্মমভাবে আক্রমণ করে। হামলায় জওয়ানের হাতে ও মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে। জওয়ান কিছু বোঝার আগেই চোরাকারবারীরা আহত জওয়ানের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে সহকর্মী জওয়ান আহত জওয়ানকে সাহায্য করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, ততক্ষণে চোরাকারবারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনার এফআইআর চাপড়া থানায় করা হচ্ছে।
আহত জওয়ানকে সীমা চৌকিতে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চাপড়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জওয়ানের আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে চিকিৎসকরা তাঁকে কলকাতায় রেফার করেন।
বিএসএফের শীর্ষ কর্মকর্তারা বিজিবির সাথে পতাকা বৈঠক করেছেন
অস্ত্র উদ্ধার এবং অপরাধীদের ধরতে বিএসএফ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সাথে একটি পতাকা বৈঠক করেছে, সেখানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কর্মকর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন যে, তাহারা শীঘ্রই অপরাধীদের ধরবে।
শ্রীসঞ্জয় কুমার, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, সেক্টর হেডকোয়ার্টার কৃষ্ণনগর বলেছেন যে, চোরাকারবারি এবং অপরাধমূলক উদ্দেশ্যযুক্ত লোকেরা যখন সীমান্তের ওপারে তাদের অবৈধ কার্যকলাপে সাফল্য পায় না, তখন তারা জওয়ানদের উপর মারাত্মক হামলা চালায়। তিনি আরও বলেছিলেন যে, প্রতিনিয়ত আমাদের জওয়ানদের উপরে পরিকল্পিতভাবে চোরাকারবারি এবং তাদের সহযোগীরা আক্রমণ করে, , কিন্তু তবুও আমাদের জওয়ানরা তাদের পরিকল্পনা সফল হতে দেয় না।
0 Comments