কিন্তু এরই মধ্যে সবাইকে অবাক করে দিয়ে তিনি নিজেই তাঁর অবস্থা সম্বন্ধে অবগত করতে ফোন করলেন। পরিস্কার জানিয়ে দিলেন ইডি আধিকারিকরা যেন প্রয়োজনে তার বয়ান রেকর্ডও করে নেয়। তিনি হলেন গোপাল দলপতি। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের মূল হোতা বললেও বোধকরি খুব ভুল হবে না। বেশ কিছু সময় ধরেই তিনি রহস্যজনক ভাবে লুকিয়ে ছিলেন।
ইডির তরফ থেকে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয় যে তিনি নিজেই তাঁদের সল্টলেক অফিসের সিজিও কমপ্লেক্সে ফোন করে বলেছেন যে, তিনি বর্তমানে কলকাতাতেই আছেন। এই রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যে জল ঘোলা হচ্ছে তিনি তা নিয়ে কথা বলতে চান ইডির আধিকারিকদের সাথে। পাশাপাশি তিনি একথাও জানাতে ইচ্ছুক যে তিনি কীভাবে এই দুর্নীতির সাথে যুক্ত। সেইকারণেই গোপাল খুব শীঘ্রই ইডি-র অফিসে আসতে চান এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইডি-র অফিসারদের সাথে দেখা করে কথা বলতে চান।
প্রসঙ্গত ইডি আধিকারিকরা গোপালের খোঁজ পান যখন তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষের কথা নিয়োগ দুর্নীতি চলাকালীন সামনে আসে। হুগলীর দলনেতা কুন্তল ঘোষ যখন নিয়োগ দুর্নীতির কথা ইডির সামনে স্বীকার করছিলেন তখন তিনিই গোপাল দলপতির কথা উল্লেখ করেন। এরপরে যখন ইডির আধিকারিকরা গোপাল দলপতি আসলে কে এবং তিনি কীভাবে এই দুর্নীতির সাথে যুক্ত তা খোঁজ খবর জানতে যান, তাঁদের কাছে আসে এক অদ্ভুত চাঞ্চল্যকর খবর।
সূত্রের খবর, তিনি মাস কয়েক আগে ছিলেন তিহার জেলে। কেন? চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িয়ে গেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও তাঁর জামিন হয়ে যায়। আর তারপরেই কুন্তল ঘোষের মুখে শোনা যায় তাঁর নাম। এরপরে তিনি যখন শোনেন যে, ইডি তার খোঁজ করছেন, অনুসন্ধান চালাচ্ছেন তার তখন তিনি নিজেই ফোন করে নিজের বয়ান রেকর্ড করাতে চান।
0 Comments