ওয়েব ডেস্ক; ৯ ফেব্রুয়ারি: রহস্য রোমাঞ্চে ভরা থ্রিলার ছবি " এলএসডি: লাল স্যুটকেস টা দেখেছেন" ছবির প্রমোশন জিআইএস গ্রুপের গুরু নানক ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির কলেজ ক্যাম্পাসে বুধবার সারলেন ছবির প্রধান অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। ছবিটি সিনেমা হলে আগামী শুক্রবার ১০ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে। প্রমোশনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল এবং সঙ্গীত পরিচালক স্যাভি।
ছবিতে অভিনয় করেছেন কাঞ্চন মল্লিক, সৌরভ চক্রবর্তী, অভিজিৎ গুহ, লাবনী সরকার এবং অন্যান্যরা। চলচ্চিত্রটি মাদকাসক্তির প্রভাব এবং কীভাবে এটি তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করে তা তুলে ধরে। একটি ডার্ক কমেডি নিজেই একটি কৌতূহলোদ্দীপক ধারা এবং এটি একটি খুব প্রাসঙ্গিক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে যা গুরুতর উদ্বেগের কারণ। বাস্তব লোকেশনে শ্যুট করা হয়েছে মুভিটিতে সামাজিক বার্তা সহ একটি নিখুঁত বিনোদন প্রস্তুত করার জন্য সম্ভাব্য সমস্ত মশলা রয়েছে।
অভিনেতা সোহম বলেন, বর্তমান প্রজন্মে মাদকাসক্ত হওয়ার ঘটনা প্রায়শই দেখা যাচ্ছে এবং এই ছবিতে মাদকের খারাপ দিকটা কি সেই বিষয়ে দেখানো হয়েছে । এর থেকে মাদকের খারাপ দিকটা সবাই জানতে পারবে এবং এই নেশা থেকে যাতে সবাই দূরে সরে আসে সেটি হল আমাদের এই ছবির অন্যতম উদ্দেশ্য।
তিনি আরো জানান, " শেষ কবে আমরা হাসির একটা ছবি দেখেছি তা ঠিক করে বলতে পারব না। দশকরা এই ছবির মাধ্যমে হাসির খোরাক পাবেন এবং লাল সুটকেস - যে ব্যাপারটা তাতে একটা রহস্য রোমাঞ্চর কথা এমনিতেই রয়েছে। বিশেষ করে এটা আমাদের দায়িত্ব যে মানুষকে ভালো ছবি উপহার দিলে মানুষ অবশ্যই দেখবে। সম্প্রতি কয়েকটি ছবি তারই নিদর্শন। এই ছবি থেকে যে বার্তা সমাজকে এবং যুব সমাজকে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাহলো মাদক থেকে দূরে থাকুন। মাদকের চেয়ে খারাপ দিকটা সেই খারাপ দিকটা নিয়েই আমাদের ছবির অন্যতম পটভূমি।
তিনি আরো বলেন, " বাংলা ছবির সঙ্গে আপনারা থাকুন। আজ বাংলা ছবি বিশ্বের কাছে সমদ্রিত। যেকোনো ছবির খারাপ ভালো দুটো দিকে রয়েছে। তাই আগে থেকে বিচার না করে সিনেমা হলে গিয়ে ছবিটি দেখে তারপর সামাজিক মাধ্যমে সেই ছবি সম্পর্কে বা আপনার মতামত আপনি দিতে পারেন।"
কলকাতা শহরে এবং বিভিন্ন জায়গায় সিঙ্গেল স্ক্রিন সিনেমা হল গুলি বেশ কিছু বন্ধ হয়েছে এবং বেশ কিছু বন্ধের মুখে সেই নিয়ে প্রশ্ন করলে অভিনেতা জানান, সবচেয়ে বড় কথা হল আমরা ইন্ডাস্ট্রিতে যারা রয়েছি তাদেরকে একত্রিত হয়ে এটার উপর ভাবনা চিন্তা শুরু করতে হবে। একে অপরের হাত ধরে যদি আমরা এগিয়ে যাই তাহলে ইন্ডাস্ট্রি আরো বড় হবে। সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করবে এইখানে দর্শকরা। তারা যদি সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখতে শুরু করে তাহলে আশা করা যাচ্ছে যে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। এটা সরকারের কাছে আমরা অবশ্যই এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারব। সেখানে রাজ্য সরকার অবশ্যই আমাদের সাহায্য করবে।"
JIS গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সর্দার তারাঞ্জিত সিং উল্লেখ করেন, "একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে আমাদের প্রধান কর্তব্য হল শিক্ষার্থীদের এমন একটি পথে পরিচালিত করা যা একটি সফল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যায়। তাই, প্রধান কাস্টের সাক্ষী হওয়া একেবারেই আশ্চর্যজনক ছিল। একটি বাংলা সিনেমা যা একটি প্রাসঙ্গিক সমস্যা নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তরুণদের নিজেদের জন্য নিরাপদ পথের দিকে পরিচালিত করবে।"
0 Comments