বর্তমানে আমরা যেকোনো রোগের জন্য কেমিক্যাল কে ব্যবহার করে থাকি। সে রোগ যতই ছোট হোক না কেন আমরা চট করে কোন এলোপ্যাথি দোকান থেকে একটা কেমিক্যাল ওষুধ কিনে সেটাই চট করে খেয়ে নিই। কিন্তু আপনাদের কে বলে রাখি – যত বেশি কেমিক্যাল শরীরে প্রবেশ করাবেন তত বেশি শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার নষ্ট হবে।
তাই, আমরা যদি আমাদের একটু জ্ঞান বাড়াই, তাহলে দেখতে পাবো যে আমাদের আশেপাশে এমন কিছু মশলা অথবা ঔষধি থাকে যেটা ব্যবহার করলে আমরা অনেক সুস্থ থাকতে পারি এবং আপনাদেরকে বলছি এই ঔষধি গুলো এলোপ্যাথি ঔষধ এর থেকে অনেক দ্রুত কাজ করতে পারে ।
কিছু রোগ এবং তার ওষুধ সম্পর্কে নিচে বিবরণ দেওয়া হল—
ঠান্ডা লাগা – ঠান্ডা লাগা থেকে বাঁচার জন্য আঙ্গুলের একটি করের মত আদা নিয়ে তার সঙ্গে পাঁচ ছটা গোটা গোলমরিচ একটু ভেঙে নিয়ে এক গ্লাস জলে মিশিয়ে সেটিকে ফোটাতে ফোটাতে হাফ গ্লাস করতে হবে। উষ্ণ অবস্থায় চায়ের মত করে খেতে হবে।
বাচ্চাদের জন্য আদার সঙ্গে তিনটি বা চারটি তুলসী পাতাকে ফুটিয়ে খাওয়াতে পারেন।
গলা ব্যথা – একটি কনিষ্ঠা আঙ্গুলের মত কাঁচা হলুদ কে নিয়ে থেঁতো করে এক গ্লাস এক গ্লাস জলে মিশিয়ে সেটিকে ফোটাতে ফোটাতে হাফ গ্লাস করতে হবে, তারপর উষ্ণ থাকা অবস্থায় গলা ভিজিয়ে চা এর মত হালকা হালকা করে খেতে হবে।
টনসিল – টনসিল বাচ্চাদের বা বড়দের যাদেরই হোক, উপায়টি একই রকম। কনিষ্ঠা আঙ্গুলের মত একটি কাঁচা হলুদকে নিয়ে ভালো করে বেটে, চামচে করে নিয়ে আস্তে করে আলজীবের তলায় ওটিকে রেখে দিতে হবে। লালার সঙ্গে ১৫ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত হলুদ আস্তে আস্তে গলা দিয়ে নামতে থাকবে, এবং দেখবেন এই একটি ডোজেই টনসিল একদম ঠিক হয়ে যাবে।
বুকে কফ জমা – বুকে কফ জমে গেলে সেটিকে বার করার জন্য ডাক্তারেরা অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে থাকে। এটি শরীরকে আরও দুর্বল করে দেয়। তাই বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন ন্যাচারাল অ্যান্টিবায়োটিক। দুটো লবঙ্গ, দুটো ছোট এলাচ, তিনটে তেজ পাতা, কনিষ্ঠা আঙুলের মত একটা দারচিনি একটু ভেঙে নিয়ে এক গ্লাস জলে মিশিয়ে ফোটাতে ফোটাতে হাফ গ্লাস করে ফেলুন, উষ্ণ থাকা অবস্থায় চায়ের মতো করে খেতে হবে। চাইলে এক চামচ মধু মেশাতে পারেন। তিন দিনের মধ্যে বুকের কফ গলতে শুরু করবে। নিশ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থাকলেও সেটিও দূর হবে।
যেকোনো ধরনের ফিভার বা জ্বর – চার থেকে ছটি শিউলি পাতাকে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে সেটাকে কুচো করে ফেলুন। এক গ্লাস জলের সঙ্গে মিশিয়ে ফোটাতে থাকুন এবং ফোটাতে ফোটাতে ওটিকে হাফ করে ফেলুন। তিন দিন সকালবেলা খালি পেটে এটি সেবন করুন। যেকোনো রকমের জ্বর থেকে উপশম পান।
শীতকালে নিজের ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ানোর জন্য নিচের উপায়টি ব্যবহার করুন –
দুটি রসুনের কোয়া, আঙ্গুলের একটি করের ন্যয় আদা, সাত থেকে আটটি গোটা গোলমরিচ, এগুলিকে একসঙ্গে নিয়ে একটু থেঁতো করে এক গ্লাস জলে দিয়ে ফোটাতে ফোটাতে হাফ গ্লাস করে ফেলুন, উষ্ণ থাকা অবস্থায় চায়ের মতো করে খেয়ে নিন।
এতে আপনার ইমিউনিটি পাওয়ার তো বাড়বেই তার সঙ্গে হার্ট, লাংস, কিডনি, লিভার সব ভালো থাকবে।
লেখক:
Abhisek Bhattacharya
Doctor Of Naturopathic Medicine And Advance Diploma,Health And Nutrition Life Coach,Fully Accredited Certificate In Natural Medicine And Herbalism,Specialization In Diabetes Management From UEMS-EACCME
(Institution Of European Union Of Medical Specialist)
Consultancy :: +91 8777577438
0 Comments