ওয়েব ডেস্ক; ৯ জুন: গুরু নানক ইনস্টিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট (জিএনআইএইচএম), গুরু নানক ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (জিএনআইপিএসটি), ইনস্টিটিউট অফ ডেন্টাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ (GNIDSR) , গুরু নানক ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (GNIT) ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রকের সহযোগিতায় " যুব ট্যুরিজম ক্লাব"(YUVA Tourism Club) - এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো JIS গ্রুপের গুরু নানক ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে।
উপস্থিত ছিলেন, উপস্থিত ছিলেন ভরত সরকারের পর্যটন মন্ত্রকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর সায়ক নন্দী; অধ্যক্ষ জিএনআইএইচএম অধ্যাপক প্রলয় গাঙ্গুলী ; অধ্যাপক ড. লোপামুদ্রা দত্ত , অধ্যক্ষ জিএনআইপিএসটি প্রমুখ ।
শিশু ও যুবকদের মধ্যে ভারতের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং পর্যটনের প্রতি আগ্রহ, সচেতনতা এবং দায়িত্ববোধ তৈরির কৌশলগত উদ্দেশ্য নিয়ে পর্যটন মন্ত্রক "যুব ট্যুরিজম ক্লাব" এর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে প্রচারাভিযান শুরু করেছে। দৃষ্টিভঙ্গি হল ভারতীয় পর্যটনের তরুণ দূতদের লালন-পালন করা এবং বিকাশ করা যারা ভারতের পর্যটন সম্ভাবনা সম্পর্কে সচেতন হবে, আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রশংসা করবে এবং পর্যটনের প্রতি আগ্রহ ও আবেগ বিকাশ করবে।
সায়ক নন্দী বলেন, " ভারতবর্ষকে গ্রাস করেছিল উপনিবেশিক এক শাসন, সেখান থেকে বেড়ানো অতটাও সহজ কথা নয়। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে ৭৫ বছর ভারত ধীরে ধীরে নিজের জায়গাকে আরো উন্নত করে তুলেছে। ভারত বর্তমানে পৃথিবীর সেরা দশটি পর্যটন গন্তব্যের একটি হয়ে উঠেছে। কিন্তু আমাদের প্রধান লক্ষ্য শীর্ষস্থানে যাওয়া। এবং এই এক নম্বরে যদি যেতে চাই আমরা তাহলে আমাদের যুব সমাজ এবং ছাত্র ছাত্রী- আগামী প্রজন্মের কাছে ভারতের শিল্প-সংস্কৃতি সব কিছুকেই আরো বড় করে মেলে ধরতে হবে। এই ছাত্রছাত্রীরা যখন পরবর্তীকালে বিদেশে যাবে তখন এরাই ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করবে ট্যুরিজম অ্যাম্বাসেডর হিসেবে। সেটাই প্রাথমিক লক্ষ্য। বহু ভারতীয় আজ বিদেশে রয়েছে, এবং তাদের কাছে ভারতকে তুলে ধরাই হলো এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য। প্রথম সারির দেশে ভারতীয় ছাত্র ছাত্রীদের চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা যখন পরবর্তীকালে বিদেশে চাকরি করেন তখন সেখানে অর্থনীতিতে যেমন এদের এক অবদান থাকে ঠিক তেমনভাবেই ভারতীয় অর্থনীতিতে এদের একটি অবদান থেকে যায়, এটিও " যুব ট্যুরিজম ক্লাব" র ভাবনা।
তিনি আরও জানান, ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে " যুব ট্যুরিজম ক্লাব" এই ভাবনাটি শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের জেআইএস-কে জুড়লে এখনোপর্যন্ত মোট ২৬৫ টি " যুব ট্যুরিজম ক্লাব" হলো। এবং সারা ভারতে এই সংখ্যাটি ৩০ হাজারেরও বেশি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাবনাকে সফল করার জন্য আগামী দিনে আমরা এই ক্যাম্পেন চালিয়ে যাব। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে সারা ভারতে এই সংখ্যাটি ৫০ হাজারেরও বেশি এবং পশ্চিমবঙ্গে এই সংখ্যাটি ১০০০ এরও বেশি পৌঁছানোর লক্ষ্য আমরা রাখছি। এই ক্লাবের যে স্কুল বা কলেজ সদস্য হচ্ছেন এবং সেখানকার যতজন শিক্ষার্থী এই ক্লাবে থাকবেন তাদেরকে বিভিন্ন সময় আমরা ভারতের সংস্কৃতি ঐতিহ্য এবং শিল্প সমৃদ্ধ জায়গায় নিয়ে যাব এবং সেখানকার সংস্কৃতি - শিল্পর সাথে পরিচয় করিয়ে দেব যাতে তারা আগামী দিনে সেই ব্যাপারে তাদের আত্মীয়-স্বজন , বন্ধু-বান্ধব সবাইকে পরিচয় করাতে পারে।"
এই অনুষ্ঠানে মন্তব্য করতে গিয়ে, JIS গ্রুপের ডিরেক্টর সর্দার সিমারপ্রীত সিং বলেন, "আমরা পর্যটন মন্ত্রকের সহায়তায় এই যুব ট্যুরিজম ক্লাব গঠন করতে পেরে আনন্দিত কারণ এটি ক্রমবর্ধমান পর্যটন শিল্পের ফলে সম্ভাব্য ভ্রমণকারীদের সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চ করতে চায়৷ ভারতের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কূটনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্লাবটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, নেটওয়ার্কিং এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার জন্য একটি সেটিংয়ের মাধ্যমে ভারতের পর্যটনের দিককে প্রভাবিত করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং ক্ষমতা প্রদান করবে।"
0 Comments