অ্যামাজন সব মিলিয়ে ৬২ লাখের বেশি এমএসএমই-কে ডিজিটাইজ করেছে



ওয়েব ডেস্ক; ১৩ অগাস্ট : অ্যামাজন ইন্ডিয়া ভারতের প্রতি দায়বদ্ধতার অংশ হিসাবে যেসব শপথ নিয়েছিল সেগুলো পূরণ ক্ষেত্রে কতদূর এগিয়েছে তা নিয়ে আপডেট ঘোষণা করল । কোম্পানি জানিয়েছে যে সব মিলিয়ে ৬২ লাখের (৬.২ মিলিয়নের) বেশি মাইক্রো, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগকে (এমএসএমই-কে) ডিজিটাইজ করেছে, সর্বমোট ৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রপ্তানির সুযোগ করে দিয়েছে এবং আজ পর্যন্ত ১৩ লাখের বেশি (১.৩ মিলিয়ন) প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। অ্যামাজন ২০২৫ সালের মধ্যে ১ কোটি (১০ মিলিয়ন) এমএসএমই-কে ডিজিটাইজ করা, সর্বমোট ২০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রপ্তানির সুযোগ করে দেওয়া এবং ২০ লাখ (২ মিলিয়ন) কর্মসংস্থান তৈরি করার শপথ নিয়েছিল। কোম্পানি এই শপথগুলো পূরণ করার পথে যথেষ্ট এগিয়েছে।

প্রায় দুবছর আগে অ্যামাজন ২৫০ মিলিয়ন ডলারের অ্যামাজন সম্ভব ভেঞ্চার ফান্ড ঘোষণা করেছিল সেইসব প্রযুক্তিচালিত স্টার্ট-আপগুলোর জন্য, যারা ডিজিটাল ভারতের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে প্রবলভাবে উৎসাহী। এই ভেঞ্চার ফান্ড উদ্যোগপতিদের ভারতে আবিষ্কার করার, গড়ে তোলার এবং নির্মাণ করার সুযোগ দিতে আগ্রহী। গত ২৪ মাসে এই ভেঞ্চার ফান্ড অনেকগুলো জায়গায় লগ্নি করেছে, যার মধ্যে আছে ‘FreshtoHome’, ‘XYXX’, ‘Hopscotch’, ‘Fitterfly’, ‘Cashify’, ‘MyGlamm’, ‘M1xchange’ এবং ‘Small Case’।

মণীশ তিওয়ারি, কান্ট্রি ম্যানেজার ইন্ডিয়া কনজিউমার বিজনেস, অ্যামাজন ইন্ডিয়া বললেন, “আমরা সারা দেশের কয়েক লক্ষ মাইক্রো-উদ্যোগপতি, ছোট ব্যবসা এবং স্টার্ট-আপের সঙ্গে কাজ করে চলেছি এবং আমরা এমন নতুন যন্ত্রপাতি, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নিয়ে আসতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যেগুলো ভারতীয় ব্যবসাগুলোর উদ্যোগী মেজাজ বের করে আনবে, এ দেশ থেকে রপ্তানি বাড়াবে এবং বেশ বড় মাত্রায় কর্মসংস্থান তৈরি করবে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস প্রযুক্তি ও মোবাইল ইন্টারনেট ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে থাকবে এবং আমাদের ধারণা অ্যামাজন এ দেশের ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে একটা আধুনিক, সমৃদ্ধ ডিজিটাল অর্থনীতি হয়ে ওঠার ব্যাপারে বৃহত্তর ভূমিকা পালন করবে।”

অ্যামাজন ইন্ডিয়া ৬২ লাখের (৬.২ মিলিয়নের) বেশি এমএসএমই-কে ডিজিটাল সক্ষমতা দিয়েছে, 
অ্যামাজন ইন্ডিয়া ৬.২ মিলিয়নের বেশি এমএসএমই-কে ডিজিটাইজ করেছে যার মধ্যে বিক্রেতা, কারিগর এবং বুননকারী, ডেলিভারি ও লজিস্টিক্স পার্টনার প্রমুখ আছেন। এই কোম্পানির ডিজিটাইজেশনের প্রয়াসগুলো স্থানীয় খুচরো বিক্রির দোকান, কারিগর এবং তৃণমূল স্তরের উদ্যোগপতিদের মত ছোট ব্যবসাগুলোকে তাদের ক্রেতাদের কাছে পৌঁছতে সাহায্য করছে এবং তাদের ব্যবসার আওতাও বাড়িয়ে দিচ্ছে। অনলাইন বিক্রিকে আরও সহজ করে দিতে এবং ইকমার্সকে সারা ভারতের লাখ লাখ এমএসএমই-র নাগালে নিয়ে আসতে অ্যামাজন ইন্ডিয়া সম্প্রতি একগুচ্ছ উদ্যোগ নিয়েছে, যার মধ্যে আছে সরলীকৃত রেজিস্ট্রেশন, সেল ইভেন্ট প্ল্যানার, নিউ সেলার সাকসেস সেন্টার এবং আরও অনেককিছু।

অ্যামাজন গ্লোবাল সেলিংয়ে নথিভুক্ত ভারতীয় রপ্তানিকারীরা সর্বমোট ইকমার্স রপ্তানিতে ৮ বিলিয়ন ডলার পেরিয়ে যাওয়ার পথে আছেন 

অ্যামাজন ভারতীয় ব্যবসাগুলোকে ২০০+ দেশের ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সাহায্য করতে একটা শক্তিশালী পরিকাঠামো তৈরি করা, ভারত থেকে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড তৈরি করা এবং গ্লোবাল সেলিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে রপ্তানি জোরালোভাবে বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছে। এই প্রোগ্রামের গতি দ্রুত বাড়ছে এবং এই মুহূর্তে এই প্রোগ্রামে ১.২৫ লাখের বেশি রপ্তানিকারী ২০২৩ সাল শেষ হওয়ার আগেই সর্বমোট রপ্তানিতে ৮ বিলিয়ন ডলার পেরিয়ে যাওয়ার পথে আছেন। অ্যামাজন গ্লোবাল সেলিংয়ের সাত বছর লেগেছিল সর্বমোট রপ্তানিকে প্রথম পাঁচ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে দিতে। আর পরের তিন বিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে সময় লাগবে ১৮ মাসের কাছাকাছি।

অ্যামাজন ভারতে সব মিলিয়ে ১৩ লাখের (১.৩ মিলিয়নের) বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে

এমএসএমইগুলোর ডিজিটাইজেশন এবং এ দেশ থেকে রপ্তানি বাড়ানোর প্রয়াসগুলো এই ইকোসিস্টেমে হাজার হাজার জীবনধারণের সুযোগ তৈরি করতে সাহায্য করছে। গত এক বছরে অ্যামাজন বিভিন্ন শিল্প মিলিয়ে প্রায় ১.৪ লাখ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে তথ্যপ্রযুক্তি, ইকমার্স, লজিস্টিক্স, উৎপাদন, কনটেন্ট তৈরি, দক্ষতা বৃদ্ধি ইত্যাদি ক্ষেত্রে। এছাড়া অ্যামাজন বিক্রেতা গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যেসব পরোক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে সেগুলোও রয়েছে।

Post a Comment

0 Comments