ওয়েব ডেস্ক; কলকাতা, ১৬ই আগস্ট : টেলিকম পরিষেবায় ক্রমবর্ধমান প্রতারণা বন্ধ করতে এবার উদ্যোগী হলো এসঅ্যান্ডআইবি সার্ভিসেস। সংস্থার ডিরেক্টর শ্যামল কর্মকার এবং ডিজিএম (টাওয়ার এবং টেলিকম) বিকাশ কুমার শ বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, "আমরা প্রতিনিয়ত আর্থিক প্রতারণা ও তোলাবাজির শিকার হচ্ছি। এতে সবচেয়ে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ গ্রাহক। এর প্রতিবাদেই আজ আমরা সরব হয়েছি।"
সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, টেলিকম পরিষেবার সমস্যা নিয়ে আজকের দিনে অগুনতি অভিযোগ আসতে থাকতে বিদেশী টেলিকম সংস্থাগুলোর কাছে। কিন্তু বহুক্ষেত্রেই সেটা কোনও প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য হয় না। যে বিষয়ে সাধারণ মানুষও এতো দিন অবগত ছিলেন না। এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত কিছু মানুষ একরকম ইচ্ছে করেই টেলিকম টাওয়ার গুলো বিকল করে রাখতো আর বিনিময়ে ওই টাওয়ার গুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দ্বায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলোকে হুমকি দিতো টাকা দেওয়ার জন্য। বিদেশী সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজের চুক্তি চলে যাওয়ার ভয়ে ওই তোলাবাজদের কাছে মাথা নত করতে হতো এসঅ্যান্ডআইবি সার্ভিসেস-এর মতো সংস্থাগুলোকে। অপূর্ব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অল বেঙ্গল কন্ট্রাক্ট সিকিউরিটি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কিছু সহযোগী এইসব হুমকি ও ব্ল্যাকমেইলিং কর্মকান্ডে বহুদিন ধরে জড়িত ছিল। অপূর্বকে সম্প্রতি বিধাননগর ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ গ্রেফতারও করে ও বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতেই আছেন। এর কিছুদিন আগে অপূর্ব, ৪০-৫০ জনের একটি দল নিয়ে এসঅ্যান্ডআইবি সার্ভিসেসের অফিসে আসে এবং কর্মচারীদের হুমকি দেয়। এসঅ্যান্ডআইবির বক্তব্য, অপূর্ব বছরের পর বছর ধরে বিভিন্নভাবে জোর করে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলো। শুধু তাই নয় সংস্থায় কিভাবে কর্মী নিয়োগ হবে সেখানেও তার প্রভাব ছিল।
এসঅ্যান্ডআইবি সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড -এর ডিরেক্টর শ্যামল কর্মকার জানিয়েছেন, "আমাদের গ্রাহকরা নিরবচ্ছিন্ন সংযোগের উপর নির্ভরশীল এবং টাওয়ার বিকল করে দিলে পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটা স্বাভাবিক। আমরা সরকারকে অনুরোধ করবো এই বিষয়টাকে গুরুত্ব সহকারে দেখতে যাতে সাধারণ মানুষকে আগামী দিনে সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় এবং আমরা যাতে এই তোলাবাজদের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারি৷"
0 Comments