ওয়েব ডেস্ক; ৩০ অক্টোবর: বার্ষিক ক্যাম্পেন ‘হর ঘর সুরক্ষিত’-এর অঙ্গ হিসাবে গোদরেজ লকস ১৫ই নভেম্বর দিনটাকে হোম সেফটি ডে হিসাবে পালন করছে। ৭ম বার্ষিকী উদযাপনের মুখে এই ব্র্যান্ড প্রকাশ করল সর্বপ্রথম ‘মাই হোম সেফটি কোশেন্ট’ – এক অনলাইন মূল্যায়ন ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে ক্রেতারা একটা সামান্য প্রশ্নমালার মাধ্যমে নিজেদের বাড়ির নিরাপত্তার মূল্যায়ন করে ফেলতে পারবেন।
গতবছর ‘লিভ সেফ, লিভ ফ্রি প্রোগ্রাম’ নামে এক বিশেষ উদ্যোগ ঘোষিত হয়েছিল। সেই উদ্যোগে ভারতের ৫২টি জায়গায় (এনসিবির তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে বিপদসংকুল ১০টি শহরে) বিনামূল্যে বাড়ির নিরাপত্তার মূল্যায়ন করা হয়েছিল। এই প্রকল্প ১৭,৫০০-র বেশি পরিবারের কাছে পৌঁছেছিল। এই প্রকল্পের দ্বারা প্রেরিত হয়ে ব্র্যান্ড ২০২৩ সালে ক্রেতাদের আচরণ এবং বাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে তাঁদের ভয় সম্পর্কে আরও গভীরে জানার প্রয়োজন অনুভব করে। তাই এক নতুন গবেষণার বরাত দেওয়া হয়েছিল।
এই গবেষণার জন্য যে শহরগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছিল তার একটা হল কলকাতা। এই সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত প্রধান উপলব্ধিগুলোর অন্যতম হল, কলকাতার উত্তরদাতাদের অর্ধেকের বেশি (৫৬%) এখনো বাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে তলে তলে চিন্তিত এবং দেশের ৫৪% উত্তরদাতাও তাই।
এই ধরনের উপলব্ধিগুলোর ফলে একটা নতুন জিনিস চালু করার করার ভাবনা আসে – দ্য হোম সেফটি কোশেন্ট। ব্র্যান্ডের দ্বারা এ বছর চালু করা ‘মাই হোম সেফটি কোশেন্ট’ হল একটা মূল্যায়ন ব্যবস্থা, যার নাগাল পাওয়া যাবে নতুন ডিজাইন করা এক মাইক্রোসাইটে। এখানে ক্রেতারা কয়েকটা সহজ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন এবং তাঁদের বাড়ি কতটা ঝুঁকির মধ্যে আছে তা কম্পিউটারে প্রোগ্রাম করা অ্যালগোরিদমের মাধ্যমে পরখ করে নিতে পারেন। প্রাথমিক মূল্যায়ন এই ব্যবস্থার সূচনা মাত্র। একবার সেফটি কোশেন্ট প্রকাশ পেলে ক্রেতারা হোম সেফটি চেক আপ এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একটা দলের করা গভীর বিশ্লেষণের বিকল্প পাবেন – একেবারে বিনামূল্যে। এই ব্যবস্থার লক্ষ্য বাড়ির নিরাপত্তা সম্পর্কে নতুন চিন্তাভাবনা উস্কে দেওয়া এবং মানুষকে ভাল হোম সেফটি ও লকিং সমাধানে লগ্নি করতে উৎসাহ দেওয়া।
শ্যাম মোতওয়ানি, বিজনেস হেড অ্যাট গোদরেজ লকস অ্যান্ড আর্কিটেকচারাল ফিটিংস অ্যান্ড সিস্টেমস বললেন “‘লিভ সেফ, লিভ ফ্রি’ গবেষণা থেকে আমাদের যে কটা প্রাথমিক উপলব্ধি হয়েছে তার অন্যতম হল,মানুষ বিশেষ করে উৎসবের মরসুমে চিন্তামুক্ত জীবনযাত্রা অবলম্বন করতে দ্বিধা বোধ করছে। কলকাতা সবে দেশের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোর একটা উদযাপন করল – দুর্গাপুজো। আর হোম সেফটির জন্যে কথা বলা ভারতের অন্যতম অগ্রগণ্য ব্র্যান্ড হিসাবে আমরা বাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে তাঁদের ভয় এবং দুশ্চিন্তাগুলো বুঝতে পারি। যেমন অনেক এলাকায় উৎসবের মরসুমেই সবচেয়ে বেশি অপরাধের ঘটনা ঘটে।
এইজন্যেই ‘মাই হোম মাই সেফটি কোশেন্ট’ ’জরুরি। ব্র্যান্ড হিসাবে আমরা সর্বদা আমাদের ক্রেতাদের বাড়ির নিরাপত্তার মূল্যায়নে সাহায্য করেছি এবং বাড়িতে সঠিক ধরনের লকিং সমাধান রাখার প্রয়োজন সম্পর্কে সচেতন করেছি। এই সহজ মূল্যায়নের মাধ্যমে ক্রেতারা নিজেদের পরখ করতে পারবেন। হোম সেফটি কোশেন্ট কী সেটা বুঝতে পারবেন, নিজের বাড়ির ঠিক কোথায় কোথায় নিরাপত্তা আরও উন্নত করা দরকার সেটাও বুঝতে পারবেন। তারপরেও বিশেষজ্ঞদের বিনামূল্যে গভীর হোম সেফটি চেক-আপের জন্য ডাকার বিকল্প থাকবে।”
আমাদের গবেষণার ফলাফল ‘মাই হোম সেফটি কোশেন্ট’ লঞ্চকে পুষ্ট করেছে। এই গবেষণা বহু মানুষের জীবনে বাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তার তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাবের উপর আলো ফেলে।”
এই সমীক্ষা থেকে পাওয়া আরও কিছু তথ্য যা একান্ত কলকাতা শহরের জন্য, সেগুলো হল:
৪৫% উত্তরদাতা তাঁদের অনুপস্থিতিতে বাড়িতে চুরি বা ডাকাতি হতে পারে ভেবে নৈশভোজ বা সামাজিক অনুষ্ঠানে যাননি। কলকাতায় সার্ভেতে অংশগ্রহণ করেছেন এমন মানুষদের ৩০% জানিয়েছেন যে বাড়ির নিরাপত্তার চিন্তা সারাক্ষণ তাঁদের মাথায় ঘোরে।
চারজনে একজনের বেশি ব্যক্তির পক্ষে (২৬%) বাড়ি থেকে দূরে কোনো উৎসব উদযাপনের পরিকল্পনা করা বা আত্মীয়দের বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়ির নিরাপত্তা অন্যতম প্রধান চিন্তা।
0 Comments