সর্ষের তেলের ব্র্যান্ডগুলি ঝাঁঝের মাত্রা সম্পর্কে কোনও তথ্য প্রকাশ করে না: সমীক্ষা ২০২৩ -এর মতে




ওয়েব ডেস্ক; কলকাতা ২৯ নভেম্বর : ভারতের উত্তর ও পূর্বের প্রধান সর্ষের তেলের বাজার জুড়ে 'ঝাঁঝ কি জানচ' শীর্ষক সর্ষের তেলের একটি তীব্রতা সচেতনতা বিষয়ক সমীক্ষা ২০২৩ করেছে এনএফএক্স ডিজিটাল নামে একটি সংস্থা। ওই স্বাধীন সমীক্ষা`য় গ্রাহকদের মধ্যে তাদের ব্যবহার করা সর্ষের তেল সম্পর্কে অজ্ঞতা বিস্ময়করভাবে উঠে এসেছে। আশ্চর্যজনকভাবে, ৮৫% উত্তরদাতারা তাঁদের রান্নায় ব্যবহার হওয়া সত্ত্বেও তারা সর্ষের তেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি সম্পর্কে একদমই অবগত ছিলেন না। 

সমীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এবং সর্ষের তেল সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের সঙ্গে কনজিউমারদের ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে, ইমামি এগ্রোটেক লিমিটেড তার 'ইমামি হেলদি অ্যান্ড টেস্টি কাচ্চি ঘানি সর্ষের তেল' এর তিনটি স্বতন্ত্র ঝাঁঝের মাত্রার একটি অনন্য সিলেকশন চালু করেছে: মৃদু (ঝাঁঝ-এর স্তর: .২৪%), কড়া (ঝাঁঝ-এর স্তর: .৩০%) এবং অতি কড়া (ঝাঁঝ-এর স্তর: .৩৬%)। এই উদ্ভাবনী পরিকল্পনা, প্রত্যেক ব্যক্তিবিশেষের স্বাদের পছন্দের কথা মাথায় রেখে, সর্ষের তেলের বাজারে নিয়ে এল এক অনন্য চিন্তাধারা। ভারতে এই প্রথম কোনও ভোজ্য তেলের ব্র্যান্ড এই ধরণের তথ্য দিচ্ছে।  

এনএফএক্স ডিজিটাল দ্বারা পরিচালিত এই সমীক্ষার লক্ষ্য ছিল, সর্ষের তেলের তীব্রতা বা ঝাঁঝের স্তর সম্পর্কিত বিষয়ে কনজিউমারদের মধ্যে সচেতনতা, উপলব্ধি এবং নিজেদের পছন্দ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে কনজিউমাররা নির্দিষ্ট স্বাদ এবং সুগন্ধের জন্য সর্ষের তেল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে প্রাথমিক কারণ হিসেবে তেলের 'তীব্রতা' বা ঝাঁঝ এবং স্বাদ-এর খোঁজ করেন। উত্তরদাতারা স্বীকার করেছেন যে সর্ষের তেলের তীব্রতা তেলের মধ্যে একটি জোরালো ঘ্রান ও সুবাস প্রদান করে, যা তাঁদের রান্নার একটি অপরিহার্য উপাদান । 

একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক, ৭৫% ব্যবহারকারী সর্ষের তেলের ঝাঁঝের মাত্রা সম্পর্কে জানার জন্য গভীরভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও, সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে যে ৯১% ব্যবহারকারী সর্ষের তেলের ব্র্যান্ড ব্যবহার করার ক্ষেত্রে প্যাকেজিংয়ে তেলের ঝাঁঝের মাত্রা সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য দেখে নিতে চান। তাঁরা চাইছেন, সর্ষের তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে তাঁদের অবগত করার জন্য তেলের ব্র্যান্ডগুলি যেন স্বচ্ছতার সঙ্গে এই বিষয়গুলি উল্লেখ করে।

সমীক্ষার ফলাফল এবং একটি অভিনব প্রোডাক্ট প্রয়াস চালু করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে, ইমামি এগ্রোটেক লিমিটেডের মার্কেটিং-এর প্রেসিডেন্ট শ্রী দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, “ইমামি অ্যাগ্রোটেক-এ, আমরা আমাদের গ্রাহকদের কেবলমাত্র প্রোডাক্ট নয়, প্রোডাক্টের বিষয়ে স্বচ্ছতা এবং সততা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই, সর্ষের তেল-এর বিষয়ে কনজিউমারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে 'ঝাঁঝ কি জানচ সমীক্ষা' আমাদের কনজিউমারদের সম্মান করার এবং তাদের 'জানার অধিকার' দিয়ে ক্ষমতায়নের সঠিক সুযোগ দিয়েছে। এর ফলে তাঁরা সর্ষের তেলের বিষয়ে নিজেদের পছন্দ সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। কারণ, সর্ষের তেল হল রান্নাঘরের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এক উপাদান। আমরা আশা করি 'ইমামি হেলদি অ্যান্ড টেস্টি কাচ্চি ঘানি সর্ষের তেল' এর তিনটি ভিন্ন মাত্রার তীব্রতা বা ঝাঁঝ আমাদের কনজিউমারদের পছন্দের ঝাঁঝযুক্ত তেল বেছে নেবার স্বাধীনতা এনে দেবে।”

সমীক্ষা এবং কনজিউমারদের জানার অধিকার সম্পর্কে তাঁর নিজের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করে, ভারতের প্রথম মাস্টারশেফ পঙ্কজ ভাদৌরিয়া বলেন, “ভারতের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের সমৃদ্ধ রান্নার ঐতিহ্যে সর্ষের তেল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুর্ভাগ্যবশত ভারতে, সর্ষের তেলের ব্র্যান্ডগুলির তীব্রতার মাত্রা যাচাই করার জন্য কোনও মাপকাঠি নেই এবং প্রায়শই এটি একই ব্র্যান্ডে এবং প্যাক থেকে প্যাকে পরিবর্তিত হয়। কনজিউমাররা প্রায়শই এই বিষয়ে অসচেতন থাকেন। শেষ পর্যন্ত তাঁরা এমন একটি প্রোডাক্ট ক্রয় করেন, যা তাঁদের সন্তুষ্টি পূরণ করতে পারে না। ইমামি এগ্রোটেক তাদের প্যাকে তীব্রতার মাত্রা প্রদর্শন করার জন্য প্রথম পথপ্রদর্শক হিসেবে ক্রেতাদের জন্য স্বচ্ছতা এনেছে। এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।”

Post a Comment

0 Comments