উৎসবের মরসুমে ‘আদ্যিকালের দইওয়ালাদের’ ফিরিয়ে আনল আইটিসি-র আশীর্বাদ মিষ্টি দই



ওয়েব ডেস্ক; ৪ নভেম্বর; কলকাতা: এ বছর দুর্গাপুজোয়, পুরনো দিনের স্মৃতি উস্কে দিয়ে বাঙালিদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিল আইটিসি-র আশীর্বাদ মিষ্টি দই। বাংলা গল্পের বইয়ে পড়া ‘দইওয়ালাদের’ ফিরিয়ে আনল এই ব্র্যান্ড। একটা সময় ছিল যখন কলকাতার রাজপথে ‘দই চাই দই’ হাঁক দিয়ে মিষ্টি দই ফেরি করে বেড়াতেন দইওয়ালারা। মাটির হাঁড়িতে করা আশীর্বাদ মিষ্টি দই, ফিরিয়ে আনল সেই স্মৃতি, সেই আবেগ, সেই স্বাদ– যা মন ছুঁয়ে গেল সকলের। ধুতি আর গামছা পরে, আশীর্বাদ মিষ্টি দইয়ের হাঁড়ি সমেত, বাঁক কাঁধে দইওয়ালা সেজে শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়ালেন অভিনেতারা। 

অরিত্র দাশগুপ্তর কণ্ঠে আশীর্বাদ মিষ্টি দই গান আরও মিষ্টি করে তুলেছিল দইওয়ালাদের এই যাত্রাকে। বাঙালিয়ানায় মোড়া এই গান জনপ্রিয় হয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহে ইউটিউবে এই গানের ভিডিওয় প্রায় লক্ষাধিক ভিউ। গানের তালে নেচে হিন্দুস্তান পার্ক পূর্বাচল এবং নিউটাউন সর্বজনীনের পুজো প্রাঙ্গণে উৎসবের আনন্দে গা ভাসান এই দইওয়ালারাও। শহরের বেশ কিছু মণ্ডপে ‘শেষ পাতে দই’ হিসেবে আশীর্বাদ মিষ্টি দই বিতরণ করা হয়, যাতে উপস্থিত দর্শনার্থীদের উৎসব উদ্‌যাপন হয়ে ওঠে মিষ্টি মধুর। 

ফেলে আসা দিনের স্মৃতি এবং স্বাদ নিয়ে আইটিসি-র আশীর্বাদ মিষ্টি দই বরাবরই বাঙালির আবেগের সঙ্গী হয়েছে। কলকাতার ২০০০-এর বেশি দোকান, মডার্ন ট্রেড স্টোর এবং আইটিসি ইস্টোরে এই দই পাওয়া যায়। ‘দইওয়ালাদের’ সঙ্গে নিয়ে এবারের এই ক্যাম্পেনে মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের সামনে সোনালী অতীতের ছবি ফুটিয়ে তুলেছে ।

এই ক্যাম্পেন প্রসঙ্গে আইটিসি লিমিটেড-এর ডেয়ারি ও বেভারেজ শাখার চিফ অপারেটিং অফিসার সঞ্জয় সিঙ্গল বলেন, “মিষ্টি দই হল পশ্চিমবঙ্গবাসীর অন্যতম প্রিয় মিষ্টি। মিষ্টি দই ছাড়া কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানের কথা ভাবাই যায় না। উৎসবের দিনগুলোয় বিখ্যাত সেই দইওয়ালাদের মাধ্যমে ক্রেতাদের হাতে এই জনপ্রিয় মিষ্টি তুলে দিতে পেরে আমি দারুণ খুশি। দইওয়ালারা এই মিষ্টির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আবেগকে তরতাজা করে তুলেছে।”

মন ছুঁয়ে যাওয়া এই উদ্যোগের পাশাপাশি আশীর্বাদ মিষ্টি দই ' হ্যাস ট্যাগ মিষ্টিস্বাদেরস্মৃতি' নামে একটা ডিজিটাল কনটেস্টেরও আয়োজন করেছিল। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের সৃজনশীল ভাবে তাদের দুর্গাপুজোর সুখস্মৃতি ব্যক্ত করার উৎসাহ দেওয়া হয়। বিজয়ী প্রতিযোগীদের হাতে আকর্ষণীয় পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় যা, উৎসবের আনন্দে আলাদা মাত্রা যোগ করে। সব মিলিয়ে এই সময়কালে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে আশীর্বাদ মিষ্টি দই প্রায় ৩৩ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল যাতে, দুর্গাপুজোর সময় কলকাতায় রাস্তায় ফিরল মনোরম স্বাদের সুখস্মৃতি।

Post a Comment

0 Comments