২০২৩ সালে প্রথমবারের গাড়ি ক্রেতাদের ৭৩% স্পিনির ক্রেতা



ওয়েব ডেস্ক; ৭ জানুয়ারি: ২০২৩ সালে ডিজিটাল বিক্রির বর্ধিত চাহিদার ফলে ভারতের ব্যবহৃত গাড়ির ফুল-স্ট্যাক মার্কেটপ্লেস স্পিনির উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে। ২০২৩ বৎসরান্তের রিপোর্ট অনুযায়ী কোম্পানির ক্রেতাদের আচরণ বিচার করার দৃষ্টিতে পরিবর্তন এসেছে। কারণ অনলাইন ক্রয় বেড়েছে ১৩%, যা ২০২৩ সালে ৭০% পর্যন্ত উঠেছিল, ২০২২ সালে ছিল ৪৮%। এবছর ৭৩% প্রথমবারের গাড়ি ক্রেতা স্পিনির কাছ থেকে গাড়ি কিনেছেন। এ থেকে কোম্পানির প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহ এবং বিশ্বাসের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
ডিজিটালাইজেশন এবং সহজ ঋণের বিকল্প থাকায় স্পিনি গতবছরের তুলনায় ৪০% বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবহৃত গাড়ির ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বছরের দ্বিতীয় ভাগে উৎসবের মরসুম থাকায় চতুর্থ কোয়ার্টারের বৃদ্ধির হার এবছরের তৃতীয় কোয়ার্টারের ১.৫ গুণ। ১৫ই অক্টোবর (নবরাত্রির প্রথম দিন) থেকে দীপাবলি পর্যন্ত উৎসবের মরসুমে স্পিনি ৮০০০ গাড়ি বিক্রি করেছে।
বিশেষত ওনামের সময়ে কোচিতে বৃদ্ধির হার প্রথম কোয়ার্টারকেও ছাড়িয়ে গিয়ে ১.৮ গুণ বেড়েছে, যা দুর্দান্ত। স্পিনি প্ল্যাটফর্মও ওনাম উদযাপনের সময়ে কোচিতে বর্ধিত চাহিদা লক্ষ করেছে। উৎসবের প্রথম দিনেই ২৮৭টি গাড়ি বিক্রি হয়েছে। তারপরেই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে ১০ম দিনে (তিরুবনম)।
মারুতি, হ্যুন্ডাই আর হন্ডা স্পিনিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ছিল। চার্টে সবচেয়ে উপরে ছিল Grand i10, ব্যালেনো আর কুইডের মত মডেল। ক্রেতাদের মধ্যে ৪৬ শতাংশের বেশি স্পিনি ক্যাপিটালের মাধ্যমে কার ফাইন্যান্সিং করিয়েছেন। স্পিনি ক্রেতাদের মধ্যে সাদা, ধূসর আর লাল ছিল পছন্দের রং।

২০২৩ সালে স্পিনির কাছ থেকে কর্পোরেট পেশাদারদের ৭১% ব্যবহৃত গাড়ি কিনেছেন। কমপ্যাক্ট SUV স্পিনির ক্রেতাদের সবচেয়ে পছন্দের গাড়ি হিসাবে নিজের অবস্থান মজবুত করেই চলেছে। তারপরেই আছে হ্যাচব্যাক আর সেডান। রঙের পছন্দ অঞ্চল অনুযায়ী আলাদা। লাল গাড়ি বেঙ্গালুরু আর কলকাতায় জনপ্রিয় হয়েছে।
স্পিনির প্রাপ্ত তথ্য থেকে আরও জানা গেছে যে বেঙ্গালুরু, দিল্লি এনসিআর এবং হায়দরাবাদ হল সেইসব শহর যেখানে ২০২৩ সালে ব্যবহৃত গাড়ির চাহিদা সবচেয়ে বেশি ছিল। মহিলা ক্রেতাদের সংখ্যায় ধারাবাহিক বৃদ্ধি লক্ষ করা গেছে। মহিলা গাড়ি ক্রেতাদের ৩৫% স্পিনি গাড়ি কিনেছেন।

নীরজ সিং, প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও, স্পিনি, অনন্য এবং নির্ঝঞ্ঝাট গাড়ি কেনার অভিজ্ঞতা জোগানোর প্রতি এই প্ল্যাটফর্মের দায়বদ্ধতার উপর জোর দিলেন। “সহজ এবং আনন্দদায়ক গাড়ি কেনাবেচার অভিজ্ঞতা জোগানোর প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা অবিচল। ব্যবহৃত গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি স্পিনির পণ্য ও পরিষেবায় আমাদের ক্রেতাদের বিশ্বাসের প্রমাণ। একটা গাড়ি স্রেফ একটা কেনা জিনিস নয়, এটা একটা বাড়িতে বিশেষ সংযোজন। আমরা প্রত্যেক ক্রেতার জন্যে একে অসাধারণ করে তুলতে যতদূর সম্ভব চেষ্টা করব। আমরা এখন পর্যন্ত যেখানে পৌঁছেছি তার জন্যে কৃতজ্ঞ এবং প্রত্যেক ক্রেতার অভিজ্ঞতা আরও ভাল করে তুলতে উদ্ভাবন চালিয়ে যাব।”

ভারতের ব্যবহৃত গাড়ির বাজারে জোরদার বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে এবং ২৩ আর্থিক বর্ষের ৪.৬ মিলিয়ন ইউনিট থেকে ২৭ আর্থিক বর্ষে ৮ মিলিয়ন ইউনিটে পৌঁছে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্পিনি দু লক্ষের বেশি ক্রেতা তৈরি করেছে এবং দেশজুড়ে ৫৭-র বেশি কার হাব চালায়। স্পিনির ক্রেতাদের মধ্যে ৩১.৮% হোম ডেলিভারি বেছে নিয়েছেন আর ৭০% সম্পূর্ণ অনলাইন ক্রয়ের দিকে ঝুঁকেছেন।
মে সবচেয়ে বেশি বিক্রির মাস হিসাবে উঠে এসেছে।
ব্যবহৃত লাক্সারি গাড়ির ক্ষেত্রে স্পিনি ম্যাক্সের উচ্চ চাহিদা দেখা গেছে দিল্লি এনসিআরে, তারপরেই বেঙ্গালুরু আর মুম্বাইতে। স্পিনি ম্যাক্সে জিপ, বিএমডব্লিউ এবং মার্সিডিজ বেঞ্জ ছিল সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া গাড়ির ব্র্যান্ড। সবচেয়ে জনপ্রিয় মডেল জিপ কম্পাস, মার্সিডিজ বেঞ্জ সি-ক্লাস আর BMW X1। লাক্সারি গাড়ি ক্রেতাদের মধ্যে সাদা, কালো আর নীল ছিল সবচেয়ে বেশি ক্রেতার প্রিয় রং।

Post a Comment

0 Comments