গত এক বছরে পশ্চিমবঙ্গে অসাধারণ ১২.৬৭% বৃদ্ধি সমেত বেড়ে উঠেছে স্পাইস মানির ন্যানোপ্রেনেয়ার ওরফে অধিকারী নেটওয়ার্ক



ওয়েব ডেস্ক; কলকাতা, ২২ জানুয়ারি : স্পাইস মানি, পশ্চিমবঙ্গে স্পাইস মানি গ্যারান্টি ড্রাইভের মাধ্যমে এক উচ্চাকাঙ্ক্ষী যাত্রা আরম্ভ করতে চলেছে। এই কৌশলগত উদ্যোগের লক্ষ্য ২১টি শহর জুড়ে পার্টনারশিপ জোরদার করা এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে আদানপ্রদান করা, যাতে ন্যানোপ্রেনেয়র গোষ্ঠীর জন্যে পরস্পরের সঙ্গে আরও বেশি করে যুক্ত বাস্তুতন্ত্র গড়ে ওঠে। গত এক বছরে পশ্চিমবঙ্গে স্পাইস মানির গ্রস ট্র্যাকশন ভ্যালু (GTV) সন্তোষজনক ১২৮.৫৭ বিলিয়ন। এর চালিকাশক্তি হল অধিকারী নেটওয়ার্কের বহুমুখী সম্প্রসারণ। ন্যানোপ্রেনেয়ারদের নিয়ে তৈরি এই নেটওয়ার্ক ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে সন্তোষজনক ১২.৬৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৪৭.১ মিলিয়ন সামগ্রিক লেনদেন হয়েছে, যা আর্থিক নাগাল বাড়াতে স্পাইস মানির কেন্দ্রীয় ভূমিকার নিদর্শন। ২০,৮২৯টি গ্রামে প্রায় ৯.৫৪ মিলিয়ন গ্রাহককে পরিষেবা দিয়ে স্পাইস মানি আর্থিক ক্ষমতায়ন ও অন্তর্ভুক্তি চালনা করার কাজে এক বিশ্বস্ত পার্টনার হয়ে উঠেছে। দেশজুড়ে ১.৩ মিলিয়নের বেশি অধিকারী রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে আছে এই ন্যানোপ্রেনেয়রদের ১০.১৬%, যা আর্থিক মানচিত্রে স্পাইস মানির রূপান্তরকারী প্রভাবকে চিহ্নিত করে।

এই বৃদ্ধির পাশাপাশি স্পাইস মানির প্রধান প্রোডাক্টগুলিতে তাৎপর্যপূর্ণ ট্র্যাকশন দেখা গেছে। গতবছর পর্যন্ত আধার চালিত পেমেন্ট ব্যবস্থায় (AePS) মোট ২২৫.৭৯ মিলিয়ন লেনদেন হয়েছে। ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ডিরেক্ট মানি ট্রান্সফার, মিনি এটিএমের পাশাপাশি AePS এবং ভারত বিল পেমেন্ট সার্ভিসেস এই অঞ্চলে স্পাইস মানির সাফল্যের মাইলফলক হিসাবে উঠে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গে স্পাইস মানির সাফল্যের কাহিনি কেবল তার দায়বদ্ধতার প্রতিফলন নয়, ডিজিটাল পদ্ধতি গ্রহণ করার প্রতি এই অঞ্চলের মানুষের উদার মনোভাবেরও প্রতিফলন। পশ্চিমবঙ্গ আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে চালনা করতে স্পাইস মানির প্রয়াসের পক্ষে উর্বর জমি বলে প্রমাণিত হয়েছে বিশেষত গ্রামীণ এলাকায়, যেখানে ৬৮.১৩ শতাংশের বেশি জনসংখ্যার বসবাস (সেন্সাস ২০১১ অনুযায়ী)।

সঞ্জীব কুমার - কো-ফাউন্ডার, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও , বললেন “পশ্চিমবঙ্গ ভারতে স্পাইস মানির বৃদ্ধির যাত্রাকে উল্লেখযোগ্য ইন্ধন জুগিয়েছে। অধিকারী নেটওয়ার্কের বিপুল সম্প্রসারণ এবং এখানে ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবার বৃদ্ধি ডিজিটাল যুগকে আপন করে নিতে এই অঞ্চলের প্রস্তুত থাকাকে চিহ্নিত করে। আমাদের ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং সুবিধার মাধ্যমে আমাদের ন্যানোপ্রেনেয়ররা পশ্চিমবঙ্গের প্রথাগতভাবে অপর্যাপ্ত পরিষেবা পাওয়া এলাকাগুলোতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পথ দেখিয়েছে। ফলে ব্যক্তিগত স্বনির্ভরতা ও আর্থিক উন্নয়নের ব্যবস্থা করা গেছে। গ্রামীণ ন্যানোপ্রেনেয়রদের ক্ষমতায়ন এবং দেশের দূরতম কোণের বাসিন্দাদের জীবনধারণের সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারে দায়বদ্ধতায় আমরা অবিচল।”

Post a Comment

0 Comments