ওয়েব ডেস্ক; ১৩ এপ্রিল : ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটিতে জিন্দাল গ্লোবাল ল স্কুল টানা ৫বছর ভারতের শীর্ষ ল স্কুল হিসেবে র্যাংক করল এবং এইসঙ্গে পৃথিবীতে পেয়েছে ৭২ স্থান, এইসূত্রে ভারতের এটই একমাত্র ল স্কুল যারা পৃথিবীর প্রথম ১০০এর মধ্যে স্থান পেয়েছে।
এটা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে যে জিন্দাল গ্লোবাল ল স্কুল এবছর পৃথিবীতে ৭২ নম্বরে স্থান পেয়েছে যা ছিল গত বছরে ৮৪, এক লাফে এগিয়েছে ১২ ধাপ! এবছরের ক্রমপর্যায় প্রকাশ করতে গিয়ে কিউএস বিশ্লেষণ করেছে প্রায় ৫০০০ প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও গবেষণা ফলাফল। এই গ্রুপ থেকে, ১৫৬১ Rank করেছে ৫৫বিষয়ে এবং ৫ বৃহত্তর বিষয় এলাকায়, সৃষ্টি করেছে ১৯১০০ এর বেশি এন্ট্রি। এই সংখ্যা প্রতিফলিত করেছে এই ক্রমপর্যায় প্রকাশের পেছনের ব্যাপকতা যা কিউএস করেছে এসব বিষয় ক্রমপর্যায় উপস্থাপনের জন্য।
সাবজেক্ট দ্বারা এসব প্রতিষ্ঠানের র্যাংক করতে গিয়ে কিউএস বিবেচনা করেছে বিদ্যায়তনিক সুনাম, মালিকের সুনাম, গবেষণাপত্র, এইচ-ইনডেক্স, একটি সূচক যা পরিমাপ করে প্রতিষ্ঠানের স্কলারদের দ্বারা প্রকাশিত কাজের প্রভাব ও গুণমান, এবং ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ নেটওয়ার্ক (আইআরএন), প্রতিষ্ঠিত থিতু গবেষণা যৌথতার কার্যকারিতার একটি পরিমাপ।
ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটের প্রতিষ্ঠাতা আচার্য নবীন জিন্দাল জেজিএলএস-এর এই অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জন সম্পর্কে বলেছেন, “যে ধারাবাহিকতায় জেজিএলএস দেশের শীর্ষস্থানীয় ল স্কুল হিসেবে সম্মানজনক কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং পয়েন্ট পেয়েছে তাতে এই সত্য প্রতীয়মান যে এই প্রতিষ্ঠান কখনো এর মিশন বিস্মরিত হয়নি যা হল ভারতে বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করা। মাত্র এক দশকের মধ্যে ভারতের ১ নম্বর ল স্কুল হিসেবে জেজিএলএস-এর উদয় এইসঙ্গে স্পষ্ট করে দেশের যুবদের মধ্যে উচ্চ গুণসম্পন্ন শিক্ষার চাহিদা। এটা আমার কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে জেজিএলএস তাদের এই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে সফল হয়েছে। আমি বিশেষ করে রোমাঞ্চিত এই তথ্যে যে জেজিএলএস টানা পাঁচ বছর ধরে ১ নম্বর স্থান ধরে রেখেছে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে জেজিইউ-তে ফ্যাকাল্টি ও স্টাফদের উৎসর্গিত মনোভাব আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে আইনি শিক্ষার মান ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে।“
প্রফেসর (ড) সি রাজকুমার, ওপি জিন্দল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য, বলেছেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে এটা ভাগ করে নিচ্ছি যে জিন্দাল গ্লোবাল ল স্কুল (জেজিএলএস) টানা পাঁচ বছর ভারতের ১ নম্বর ল স্কুলের স্বীকৃতি পেয়েছে কিউএস ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং বায় সাবজেক্ট ২০২৪-এ। বৈশ্বিকভাবে, জেজিএলএস র্যাংক করেছে ৭২, যা একে করেছে পৃথিবীর প্রথম ১০০-এর মধ্যে একমাত্র ভারতীয় ল স্কুল। এটা সত্যিই জেজিইউ ও জেজিএলএস-এর জন্য অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। এটা জোর দিয়ে বলা উচিত যে জেজিএলএস মাত্র ১৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১০ ফ্যাকাল্টি সদস্য ও ১০০ পড়ুয়া নিয়ে ২০০৯ সালে, আজ জেজিএলএস-এ ৫৫০০-এর বেশি পডু়য়া এবং রয়েছে ৫৫০-এর বেশি পূর্ণ সময়ের ফ্যাকাল্টি সদস্য। এটি অত্যন্ত স্বল্প সময়ে এই দুর্দান্ত কৃতিত্ব অর্জন করেছে এর পেডাগগি, শিক্ষাদানের মান, গবেষণা ও আন্তর্জাতিক পার্টনারশিপের কারণে যা একে আজ দেশের প্রধান ল স্কুলে পরিণত করেছে।’
জেজিএলএল ছাড়া, ভারতের আরও দুটি ল স্কুল এবছর এই সম্মানজনক তালিকায় স্থান পেয়েছে - ন্যাশনাল ল স্কুল অব ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি, বেঙ্গালুরু (র্যাংকিং ১৫১-২০০) এবং ফ্যাকাল্টি অব ল, ইউনিভার্সিটি অব দিল্লি (র্যাংকিং ২০১-২৫০)।
জেজিএলএস বৈশ্বিকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত এমন বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের ওপরে স্থান পেয়েছে কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং বাই সাবজেক্ট ২০২৪-এ যেমন নটিংহ্যাম ইউনিভার্সিটি, যুক্তরা (৭৮), অস্টিনে টেক্সাস ইউনিভার্সিটি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৭৯), ওয়াসেদা ইউনিভার্সিটি, জাপান (৮৪), জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৮৯), ন্যানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি (এনটিইউ), সিঙাপুর (৯১), বোস্টন ইউনিভার্সিটি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৯৩), শাংহাই জিআও টং ইউনিভার্সিটি, চিন (৯৪), ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রিয়া (৯৮), জেনেভা ইউনিভার্সিটি, সুইজারল্যান্ড (৯৯)।
২০২৩-এ, জেজিএলএস গবেষকরা তাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধতা তুলে ধরেছিল বিভিন্ন স্কোপিয়াস-সূচিত উৎসের ১৭৫-এর বেশি প্রকাশ করে, গত বছরের তুলনায় যা ছিল ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি। আরও উল্লেখযোগ্য এই আউটপুট হল প্রথম চারটি ন্যাশনাল ল স্কুলের (এনএলএসইউ) চেয়ে ৬০ শতাংশেরও বেশি। জেজিএলএস-এর ২০২৩ স্কোপিয়াস-ইনডেক্সড ফোরামে প্রকাশিত অর্ধেকের বেশিতে যুক্ত ছিল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। জেজিএলএস যা করেছে সেটা শুধুই উচ্চ গুণমানসম্পন্ন গবেষণা নয়, এটি শিক্ষাদানের মানও ওপরে তুলেছে, শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক প্রতিভাদের বিভিন্ন প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়ে এসে। বিদ্যায়তনিক ও আইনি পেশা থেকে এরা এসেছেন, প্রদান করেছেন আন্তঃশৃঙ্খলিত শিক্ষা এবং বিশ্বের প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথতা স্থাপন করেছেন। জেজিএলএস-এর ফ্যাকাল্টি সদস্যরা এসেছেন ৩৮ দেশ ও অঞ্চল থেকে। জেজিইউ-তে মূল নজর হল আন্তর্জাতিকতা, জেজিএলএস ২২৫ আন্তর্জাতিক যৌথতা তৈরি করেছে পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও আইন স্কুলের সঙ্গে। জেজিইউ গর্বিত পড়ুয়া ও ফ্যাকাল্টিদের লিঙ্গ সাম্য নিয়ে। জেজিএলএস ফ্যাকাল্টি সদস্যদের ৫৬ শতাংশ মহিলা, আমি আপনাদের সঙ্গে এই তথ্য ভাগ করে নিচ্ছি যে স্কুলের নেতৃত্বে ৭০ শতাংশের বেশি স্থানে রয়েছেন মহিলারা। একইভাবে জেজিএলএস পড়ুয়াদের অধিকাংশ (৫৩ শতাংশ) মহিলা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্য ও গ্রহণশীলতার বোধের সঙ্গে মিশেছে স্কলারশিপ যা পড়ুয়াদের দেওয়া হয় মেধা, আর্থিক প্রয়োজন ও বিদ্যায়তনিক ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে। গত ১৫ বছর ধরে, ১১৫০০-এর বেশি জেজিএলএস পড়ুয়া উপকৃত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ থেকে, যার পরিমাণ ২৫০ কোটি টাকারও বেশি।
0 Comments