ওয়েব ডেস্ক; কলকাতা, ২৫ মার্চ: মণিপাল হাসপাতাল, কলকাতা, কলকাতা নেফ্রোলজি ফোরামের সহযোগিতায় মুকুন্দপুর ইউনিটে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট কো-অর্ডিনেটরস মিটের আয়োজন করল। এই অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সম্পর্কে গভীরতর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান এবং অঙ্গদান প্রক্রিয়ায় ট্রান্সপ্লান্ট কো-অর্ডিনেটরদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরা।
অনুষ্ঠানটি সফলভাবে পরিচালনা করেন মণিপাল হাসপাতাল, মুকুন্দপুর-এর নেফ্রোলজি বিভাগের পরামর্শদাতা (ডাঃ) অর্পিতা লাহিড়ি রায় চৌধুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মণিপাল হাসপাতাল (পূর্ব) -এর আঞ্চলিক প্রধান পরিচালন আধিকারিক (ডাঃ) অয়নাভ দেবগুপ্ত এবং (প্রফেসর) ডাঃ দিলীপ কুমার পাহাড়ি, প্রধান – নেফ্রোলজি, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, ডিরেক্টর এবং সিনিয়র পরামর্শদাতা – নেফ্রোলজি, মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল, যা মণিপাল হাসপাতালের নেটওয়ার্কের অংশ।
কো-অর্ডিনেটরস মিটে বিশেষজ্ঞরা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেন, যেমন:
ট্রান্সপ্লান্টের আইনি দিক
অঙ্গ বরাদ্দ এবং ওয়েটিং লিস্ট ব্যবস্থাপনা
ব্রেন ডেথ চিহ্নিতকরণ ও ঘোষণা
শোক পরামর্শ ও পরিবারকে সম্পৃক্ত করা
অঙ্গ সংরক্ষণ ও শহরের ট্র্যাফিক সমন্বয়
অঙ্গদান সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকার, মিডিয়া এবং এনজিও-র ভূমিকা
(প্রফেসর) ডাঃ দিলীপ কুমার পাহাড়ি বলেন, “ভারতে প্রতি বছর প্রায় ২ লক্ষ রোগীর কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের প্রয়োজন হয়, কিন্তু মাত্র ৫,০০০-৭,০০০ ট্রান্সপ্লান্ট সম্পন্ন হয়। ব্রেন ডেথ দ্রুত ঘোষণা করা অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটি কো-অর্ডিনেটরদের পরিবারকে সংযুক্ত করার সুযোগ দেয় এবং অঙ্গদানের মাধ্যমে একাধিক প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়।”
(ডাঃ) অর্পিতা লাহিড়ি রায় চৌধুরী বলেন, “অঙ্গদান প্রক্রিয়ায় ট্রান্সপ্লান্ট কো-অর্ডিনেটররা অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অঙ্গ পুনরুদ্ধার থেকে শুরু করে মরদেহ পরিবারের কাছে সম্মানজনকভাবে হস্তান্তর পর্যন্ত সমগ্র প্রক্রিয়াটি তাঁরা সুচারুভাবে পরিচালনা করেন। এই দায়িত্বে দক্ষতা, নিষ্ঠা, গভীর জ্ঞান এবং বিশেষ করে শোক পরামর্শদানে অসাধারণ যোগাযোগ দক্ষতার প্রয়োজন হয়। শোকগ্রস্ত পরিবারকে দুঃখ ও অস্বীকার থেকে বের করে এনে অঙ্গদানের মত জীবনদায়ী সিদ্ধান্তে পৌঁছে দেওয়া এক অত্যন্ত সংবেদনশীল কাজ। আজকের কর্মশালার মাধ্যমে কো-অর্ডিনেটরদের দক্ষতা আরও উন্নত করার চেষ্টা করা হয়েছে। মণিপাল হাসপাতাল দক্ষিণ ভারতে ট্রান্সপ্লান্ট ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে, এবং আমরা পূর্ব ভারতেও এই প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্য রাখছি।”
(ডাঃ) অয়নাভ দেবগুপ্ত বলেন, “একজন অঙ্গদাতা সর্বোচ্চ সাতজন মানুষের জীবন বাঁচাতে পারেন। মণিপাল হাসপাতাল সর্বদা সঠিক বার্তা তুলে ধরতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কলকাতা নেফ্রোলজি ফোরামের মতো সংগঠনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আমরা সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ট্রান্সপ্লান্ট ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে চাই, যাতে আরও বেশি প্রাণ বাঁচানো যায়।”
0 Comments