ওয়েব ডেস্ক; কলকাতা, ১৪এপ্রিল : পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে এক প্রাণবন্ত উৎসবের মধ্য দিয়ে আইটিসি সানরাইজ স্পাইসেস এবং বাংলা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই আয়োজিত হল 'স্বাদকাহন' – একটি দুই দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যা বাংলীয়ানার চিরন্তন রূপকে উদযাপন করল। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলার পরিচয় – যা গঠিত হয়েছে খাবার, সঙ্গীত, সংস্কৃতি, স্মৃতি এবং গল্পের সমন্বয়ে – তাকে প্রাণবন্তভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
দশকের পর দশক ধরে সানরাইজ শুধুমাত্র একটি মশলার ব্র্যান্ড নয়, বরং বাঙালি সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অংশ হয়ে উঠেছে। দুর্গাপুজো থেকে পয়লা বৈশাখ, জামাই ষষ্ঠীর ভুরিভোজ থেকে ঋতুভিত্তিক বিশেষ খাবার—সানরাইজ ছিল এবং আছে প্রতিটি বাঙালি রান্নাঘরের অঙ্গ।
সিটি সেন্টার ২-এ অনুষ্ঠিত এই দুই দিনের অনুষ্ঠানটি সানরাইজের দৃষ্টিভঙ্গিতে পয়লা বৈশাখকে জীবন্ত করে তুলেছিল—স্মৃতিময় সুবাসে ভরা, গল্পে ভরা, আর বাঙালিয়ানার জাদুতে মোড়ানো। এই ইন্দ্রিয়তৃপ্তিকর উৎসবে ছিল ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের পথচলা, ইন্টার্যাকটিভ গল্প বলার সেশন, আড্ডা কর্নার, আর্টিসান ক্রাফট নিয়ে হ্যান্ডস-অন ওয়ার্কশপ যেখানে আধুনিক ছোঁয়ার সাথে মিশেছিল বাংলার ঐতিহ্য। আত্মিক সঙ্গীত পরিবেশনা করেছিল অর্পণ খ্যাপা কালেকটিভ ও সঞ্জয় মণ্ডল অ্যান্ড গ্রুপ। এছাড়াও জনপ্রিয় ফুড ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ে এক জমজমাট কুক-অফ ছিল, প্রতিটি মুহূর্তেই ফুটে উঠেছিল বাঙালিয়ানা, মিলনের আনন্দ, আর সাংস্কৃতিক গর্ব।
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল স্বাদকাহন’ অ্যান্থলজির প্রিমিয়ার—সানরাইজ স্পাইসেস এবং হইচই-এর যৌথ উদ্যোগ। ১২ই এপ্রিল অনুষ্ঠিত এই প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় আঞ্চলিক তারকারা, যারা পুরো সন্ধ্যাকে এক প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতায় পরিণত করেন।
এই প্রসঙ্গে, সানরাইজ স্পাইসেস-এর বিজনেস হেড পিয়ুষ মিশ্র বলেন,”সানরাইজ প্রতিটি বাঙালি ঘর, উৎসব ও ঋতুর অংশ। আমরা দশকের পর দশক ধরে মানুষ, খাবার ও গল্প উদযাপন করেছি। হইচই-এর সাথে এই যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা সেই ঐতিহ্যকে আরও বিস্তৃত করেছি—খাবার ও সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে এমন গল্প বলা যা ঘরের মতোই লাগে—বাস্তব, আবেগময় এবং বাঙালিয়ানায় ভরপুর।”
হইচই-এর একজন মুখপাত্র বলেন, “স্বাদকাহন-এর মাধ্যমে আমরা এমন গল্প বলতে চেয়েছি যা ব্যক্তিগত হলেও সার্বজনীন, যা প্রতিদিনের বাঙালি জীবনের জাদুকেই তুলে ধরে। সানরাইজের সাথে সহযোগিতা, যারা বাংলার সংস্কৃতি ও খাবারের সাথে গভীরভাবে যুক্ত, আমাদের সেই গল্পগুলোকে আরও বাস্তব ও প্রাণবন্ত করে তুলেছে।”
0 Comments